পথে দেখা প্রার্থী ও ভোটারের। সবংয়ে।ছবি: রামপ্রসাদ সাউ
জোট আবহে সৌজন্যের বার্তা।
দিন কয়েক আগেই কংগ্রেসের ‘গড়’ হিসেবে পরিচিত সবংয়ের দশগ্রাম থেকে প্রচার শুরু করেছিলেন নারায়ণগড়ের সিপিএম প্রার্থী সূর্যকান্ত মিশ্র। মঙ্গলবার ওই একই জায়গায় দলীয় সভায় সূর্যকান্তবাবুকে জেতানোর আবেদন জানালেন মানসবাবু। সবংয়ের বিদায়ী বিধায়কের কথায়, ‘‘দশগ্রামে এসেছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি আমাকে জয়ী করার কথা বলেছিলেন। আমিও বলছি নারায়ণগড়ের মানুষ সূর্যকান্ত মিশ্রকে জয়ী করুন।”
মঙ্গলবার সকালে দশগ্রামের কাছাড়িবাড়ি মোড় থেকে মিছিল শুরু করেন মানসবাবু। বাম-কংগ্রেসের যৌথ মিছিলে পা মেলা সিপিআইয়ের সবং জোনাল সদস্য সিদ্ধেশ্বর চক্রবর্তী, সিপিএমের সবং জোনাল সদস্য রঞ্জন মিশ্র, কংগ্রেসের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া প্রমুখ। মিছিলের কথা শুনে রাস্তার ধারে ভিড় জমান বহু মানুষ। কাছাড়িবাড়ি মোড় থেকে হরেকৃষ্ণ, দশগ্রাম, খাজুরি হয়ে মিছিল পৌঁছয় দেহাটিতে। মিছিল শেষে দেহাটিতে এক সভাও হয়। সভার শুরুতেই মানসবাবুকে ‘কমরেড’ বলে সম্বোধন করেন রঞ্জনবাবু। সৌজন্য ফিরিয়ে দিয়ে মানসবাবুও বক্তব্যের শেষে বন্দেমাতরমের সঙ্গেই বলেন, “বামপন্থীদের জানাই লাল সেলাম।” দেহাটি থেকে মিছিল মশাগ্রাম, খাউখান্ডা হয়ে কোলন্দায় পৌঁছয়। দশগ্রেম থেকে কোলন্দা- ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ পথে হেঁটেই প্রচার করেন মানসবাবু।
সময়ের দাবি মেনেই বাম-কংগ্রেসের জোট গঠনের কথা আগেই বলেছিলেন মানসবাবু। এ দিনও মানসবাবু বলেন, ‘‘মানুষের প্রয়োজনে দেশের সংবিধান ১২৭ বার সংশোধন হয়েছিল। মানুষের স্বার্থেই এই গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ জোট হয়েছে।’’ তাঁর কথায়, “মানুষের স্বার্থে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলাম। কিন্তু এই পাঁচ বছরে মা-বোন ধর্ষিত, কলেজে ছাত্র খুন হয়েছে, মাদুর শিল্প ধুঁকছে, শিল্প নেই।’’ তৃণমূলকে বিঁধে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘আসলে ওঁরা একদলীয় শাসন চায়। তাই পরিবর্তনের পরিবর্তন হোক।”
মানসবাবুর সমর্থনে এ দিন সবংয়ের ভেমুয়ায় বাড়ি বাড়ি প্রচারে বেরোন কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি অমল পণ্ডা, বিকাশ ভুঁইয়া। তৃণমূলের লোকেরা তাঁদের হেনস্থা করে বলে মানসবাবুর অভিযোগ। মানসবাবুর অভিযোগ, “নির্বাচন কমিশনের অনুমতি সত্ত্বেও প্রচারে গিয়ে আমাদের কর্মীদের হেনস্থা হতে হয়েছে। পর্যবেক্ষক প্রকাশ কুমারের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানিয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy