এসএসকেএম-এ মদন মিত্র। মঙ্গলবার সুমন বল্লভের তোলা ছবি।
ডাক্তারেরা বলছেন, শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবু মদন মিত্রকে আরও অন্তত দু’সপ্তাহ হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বুধবার এসএসকেএমে দফায় দফায় মদনবাবুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়। পরে পিজি-কর্তারা জানান, সারদা মামলায় ধৃত মদনবাবুর শারীরিক অবস্থার খুঁটিনাটি তাঁরা স্বাস্থ্য ভবনে জানাচ্ছেন। কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক শিবানন্দ দত্তের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গড়া হয়েছে। কার্ডিওলজি ছাড়াও তাতে আছেন মেডিসিন, সার্জারি, এন্ডোক্রিনোলজি, চেস্ট মেডিসিন ও নেফ্রোলজির বিভাগীয় প্রধানেরা।
এ দিন মদনবাবুর রক্তপরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে হৃৎপিণ্ডের অবস্থা দেখতে ইসিজি, ইকো, টিএমটি করা হয়। তাঁর রক্তচাপ বেশি। হৃৎস্পন্দনেও কিছু অস্বাভাবিকতা রয়েছে। তবে সব মিলিয়ে পরিস্থিতি স্থিতিশীল। তা হলে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হচ্ছে কেন?
মেডিক্যাল বোর্ডের এক সদস্যের জবাব, ‘‘উনি উদ্বেগে রয়েছেন। বেশ কয়েক রাত ঘুমোননি। তাই কিছুটা অস্বাভাবিকতা রয়েছে। বুকে ব্যথাটা মাঝেমধ্যে কেন হচ্ছে, সেই বিষয়েও নিশ্চিত হতে চাই। সেই কারণেই ভর্তি রেখে কিছু পরীক্ষা চালানো দরকার।’’
এ দিন সকাল থেকে কার্ডিওলজির এসি কেবিনে বেশির ভাগ সময়ই শুয়ে কাটিয়েছেন মদনবাবু। খুব বেশি কথা বলেননি। খেয়েছেন কম। বাড়ির লোক ছাড়াও কিছু অনুগামী তাঁকে দেখতে যান। বুকে ব্যথা না-কমায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী মদনবাবুকে কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক অচ্যুত সরকারের অধীনে ভর্তি করানো হয়।
রবিবার, চতুর্থ দফা ভোটের আগের দিন মদনবাবুকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিরোধীরা কমিশনের কাছে আর্জি জানান, হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও মদনবাবুর নাগালে যাতে ফোন বা ইন্টারনেট সংযোগ না-থাকে, তা নিশ্চিত করা হোক। আর তাঁকে যেন আধাসেনার ঘেরাটোপে ভর্তি করানো হয়। সে-যাত্রা ভর্তির প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy