সিপিএমের মহম্মদ সেলিম বা কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীরা হাজির থাকলে নির্ঘাত নারদ-নারদ আওয়াজ তুলে বিদ্রুপে ভরিয়ে দিতেন! কিন্তু ভোট প্রচারে ব্যস্ত থাকায় তাঁরা কেউ ছিলেন না। আর সেই সুযোগে আজ লোকসভায় সিপিএম, কংগ্রেস-সহ জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস নিয়ে খোঁচা দিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের সৌগত রায়। তৃণমূলের একাধিক প্রথম সারির নেতার মতো সৌগতর বিরুদ্ধেও নারদ-কাণ্ডে বিপুল টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ঘিরে এই মুহূর্তে সরগরম পশ্চিমবঙ্গের ভোট রাজনীতির ময়দান।
এডিআর (অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস)-এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট উল্লেখ করে তাঁর বক্তব্য, কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএমের মতো জাতীয় দলগুলি তাদের আয় সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের কাছে যে অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে কংগ্রেসের ৮২.৫ শতাংশ, বিজেপির ৭৩ শতাংশ এবং সিপিএমের ৫৩.৮ শতাংশ আয়ের উৎস অজ্ঞাত। বলা হচ্ছে, মানুষ স্বেচ্ছায় অর্থ দিয়েছেন।
সৌগত বলেন, ‘‘সিপিএম ২০০৫ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ৪১৭ কোটি টাকা আয় করেছে। সাধারণ মানুষের পক্ষে জানা সম্ভব নয়, অজ্ঞাত উৎসটা কী? তাই স্বচ্ছতা বজায় রাখতে, কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএমকে তাদের অজ্ঞাত আয়ের উৎস জানাতে বলা হোক।’’
একাধিক জাতীয় দলের সাংসদ সৌগতর বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন। তাঁদের যুক্তি, ২০ হাজার টাকার কম কেউ চাঁদা দিলে তার নাম জানাতে হয় না। তৃণমূল জাতীয় দল নয়। তাই তাদের কোনও আয় জানানোর বাধ্যবাধকতা নেই। পরে সিপিএম সাংসদ এম বি রাজেশ বলেন, ‘‘তৃণমূলের আয়ের উৎস
কী? ওদের তো টাকা আসে সারদা, নারদা থেকে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy