শপথ নেবে নতুন সরকার। রেড রোডে শেষ মুহূর্তের সাজগোজ। বৃহস্পতিবার দেবস্মিতা ভট্টাচার্যের তোলা ছবি।
রীতি বদলাচ্ছে শপথে। এত দিন এ রাজ্যে মন্ত্রীদের আলাদা আলাদা ভাবেই শপথবাক্য পাঠ করাতেন রাজ্যপাল। কিন্তু আজ, শুক্রবার রেড রোডে কয়েক ঝাঁকে শপথ নেবেন মন্ত্রীরা। ক’দিন আগে ঠিক যেমনটা হয়েছে তামিলনাড়ুতে, জয়ললিতার শপথে।
রাজভবন সূত্রের খবর, সময়াভাব এবং বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে এক ঝাঁক মন্ত্রীকে একসঙ্গে শপথ বাক্য পাঠ করানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। তাতে রাজি হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক হয়েছে ভাষার ভিত্তিতে একসঙ্গে বেশ কয়েক জন করে মন্ত্রী শপথ পাঠ করবেন। বাংলা, ইংরেজি, উর্দু ও হিন্দিতে শপথ পাঠ করানোর ব্যবস্থা থাকবে।
আজ ১২টা ৪০ মিনিটে রাজ্যপাল রেড রোডে পৌঁছবেন। ফোর্ট উইলিয়ামের মূল ফটকের ৫০ ফুট ছেড়ে তৈরি হয়েছে বিশাল মঞ্চ। তার এক দিকে মন্ত্রীদের বসার জায়গা। অন্য দিকে বিশেষ অতিথিদের। মঞ্চের সামনে তৈরি হয়েছে ফোয়ারা। এলইডি আলোয় সাজানো হয়েছে মঞ্চ। আমজনতারও আসতে বাধা নেই অনুষ্ঠানে। মমতা এ দিন বলেন, ‘‘রেড রোড অনেক বড় জায়গা। কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। মাত্র এক হাজার বিশেষ অতিথির আমন্ত্রণপত্র বিলি হয়েছে। বাকি ১৯ হাজার আসনে আগে এলে আগে বসা যাবে।’’
১২টা ৪৫-এ মমতা শপথ নেবেন। বেলা ২টোর মধ্যে বাকি মন্ত্রীদের শপথ। এর পর মুখ্যমন্ত্রীর চা চক্র। বেলা তিনটে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা নবান্নে যাবেন। দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে যে পথ ধরে তাঁরা আসবেন, তার ডিভাইডারে নতুন রঙের প্রলেপ। রং করা হয়েছে নবান্নের অন্দরমহলও। পিতলের টবগুলি ধুয়ে-মুছে চকচকে করা হয়েছে। নবান্নে ঢোকার মুখে তৈরি হয়েছে মঞ্চ। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘গার্ড অব অনার’ দেবেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। তার পর মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং ডিজি তাঁকে স্বাগত জানিয়ে দফতরে পৌঁছে দেবেন। মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক হবে শুক্রবারই। ৪২ মন্ত্রীর দফতর বিলি হবে তার পর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy