গীতিকার জাভেদ আখতার। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউড তাঁর কলমের কাছে চিরঋণী। ‘সিলসিলা’ থেকে শুরু করে ‘১৯৪২: আ লভ স্টোরি’, ‘বীর জ়রা’ থেকে ‘স্বদেশ’-এর মতো ছবি পর্দায় আরও জীবন্ত হয়ে উঠেছে তাঁর লেখা গানের কথার জোরেই। নিজের মেধা ও স্বকীয়তার জোরে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন বলিউডের অন্যতম সেরা গীতিকার হিসাবে। তিনি জাভেদ আখতার। ‘জোধা আকবর’-ই হোক বা ‘লাক বাই চান্স’— সমান দক্ষতার সঙ্গে বিভিন্ন ঘরানার ছবির গান বেঁধেছেন তিনি। এক একটা গান লিখতে ঠিক কতটা সময় নেন জাভেদ? সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সে কথাই জানালেন গীতিকার।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জাভেদ জানান, কখনও কখনও ১০ মিনিটের থেকেও কম সময়ের মধ্যে গোটা গান লিখে ফেলেছিলেন তিনি। ‘সিলসিলা’ ছবিতে কাজ করার পর নাকি প্রয়াত যশ চোপড়ার চতুর্থ সহকারী এসে তাঁর কাছে আবেদন করেছিলেন, তাঁর ছবির গান লেখার জন্য। জাভেদ জানান, সেই সময় ১০ মিনিটের মধ্যে বেশ কিছু গান লিখেছিলেন তিনি। গীতিকার বলেন, ‘‘যিনি আমার কাছে গান লেখার আবেদন নিয়ে এসেছিলেন, তাঁর কাছে তেমন টাকাপয়সা ছিল না। তবে আমি গান লিখতে রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। আর তখন আমার মদ খাওয়ার অভ্যাস ছিল।’’ এই গল্প বলতে গিয়ে জাভেদ আরও বলেন, ‘‘যশ চোপড়া শেষ দিন পর্যন্ত কাজটা টেনেছিলেন। এমনকি, শেষ দিন পর্যন্তও আমরা মদ খেতেই ব্যস্ত ছিলাম। এ দিকে যশজিকে বাড়ি যেতে হবে। তিনি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে। আমি তখন আট বা নয় নম্বর পেগ খাচ্ছি। নয় মিনিট সময় আমার হাতে। আমি ওই সময়ের মধ্যে ‘তুমকো দেখা তো ইয়ে খয়াল আয়া’ গানটা লিখেছিলাম।’’
জাভেদের লেখা এই গান গেয়েছিলেন গজ়লশিল্পী জগজিৎ সিংহ। ‘সাথ সাথ’ (১৯৮২) ছবির এই গান ব্যাপক জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছিল। এখনও শ্রোতাদের কাছে এই গানের আবেদন অমলিন। তবে গানের নেপথ্যের এই গল্প জানতে পেরে অবাক হলেও বেশ মজা পেয়েছেন জাভেদের অনুরাগীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy