চৈতি ঘোষাল
টিকা নিয়েও করোনার কবলে অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল। আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানিয়েছেন, গত পরশু আকাশ ৮ চ্যানেলের ধারাবাহিকে অভিনয় করতে করতেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
একটা সময়ের পরে বেশি অসুস্থ বোধ করায় ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে আসেন। বাড়ি ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যে প্রচণ্ড জ্বর আসে তাঁর। সঙ্গে সারা গায়ে মারাত্মক ব্যথা, সর্দি-কাশি। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘ মনে হচ্ছিল ভাইরাল জ্বরের মতো। ফলে, প্রথমে বুঝতে অসুবিধে হচ্ছিল।’’
বুধবার সকালে কোভিড পরীক্ষার ফলাফল ইতিবাচক আসতেই সে কথা তিনি জানিয়ে দেন নেটমাধ্যমে। ইতিমধ্যেই টেলিপাড়ায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে ভরত কল, অনুশ্রী দাস, জয়শ্রী মুখোপাধ্যায়, শ্রুতি দাস, চান্দ্রেয়ী ঘোষ সহ একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীর শরীরে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে চৈতির অনুযোগ, ‘‘টেলিপাড়ার নিয়মগুলো শুধুই নিয়ম হয়ে রয়ে গিয়েছে।’’
চৈতি জানিয়েছেন, ফ্লোরে তাঁর নিজস্ব মেকআপ রুম রয়েছে। ভিড় এড়াতে একা ঘরে নিজের মতো থাকেন। সেখানেই গত পরশু আচমকা অসুস্থ তিনি। হাজার শরীরখারাপ করলেও চট করে শুয়ে পড়েন না কখনও। সেই চৈতিই সে দিন আর বসে থাকতে পারছিলেন না। অসুস্থতার কারণে শুয়ে পড়ছিলেন। রাতে বাড়ি ফিরে তাপমাত্রা মাপতে গিয়ে দেখেন ১০৩ জ্বর! অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘কাজ করতেই হবে। তাই অতিমারি ঠেকাতে টিকা নিয়েছিলাম।’’ আফসোস, কিন্তু শেষরক্ষা হল কই?
ওষুধ খেয়েও জ্বর না নামায় আর দেরি না করে টেস্ট করার তিনি। বুধবার ভোরে জানতে পারেন সংক্রমণ বাসা বেঁধেছে তাঁর শরীরেও। আপাতত নিজের ঘরেই নিভৃতবাসে রয়েছেন। চৈতির ছেলে অমর্ত্য এক দিন আগে মুম্বই থেকে ফিরেছেন। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘মাড দ্বীপপুঞ্জে অজয় দেবগন অভিনীত ‘ময়দান’ ছবির শ্যুটিং করছিল। অতিমারির দাপটে ছবির শ্যুট বন্ধ। খবর পেয়েই ওকে বাড়ি ফিরে আসতে বলি। শহরে পা রাখার আগে ওরও পরীক্ষা হয়েছে। ফলাফল নেগেটিভ।’’ অমিত রবীন্দ্রনাথ শর্মা পরিচালিত এই ছবিতে অমর্ত্য চুণী গোস্বামীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন। রুদ্রনীল ঘোষও ছবির অন্যতম অভিনেতা।
এই মুহূর্তে শুধুই টেলিপাড়া নয়, করোনা ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। চৈতির মতে, ‘‘এর অন্যতম কারণ আমাদের সচেতনতার অভাব। অনেকেরই ঘুষঘুষে জ্বর হচ্ছে। যাঁদের হচ্ছে তাঁরা ওষুধ খেয়ে ২ দিন বাড়িতে থাকছেন। জ্বর একটু কমলে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার আগেই যোগ দিচ্ছেন কাজে। তাঁরা বুঝতে পারছেন না, এর থেকে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে অতি দ্রুত।’’ পাশাপাশি, টেলিপাড়া নিয়েও তাঁর ক্ষোভ, সতর্কতার শিথীলতা সেখানেও। এখানেও বহু জন রোগ লুকিয়ে কাজ করছেন। ফলে, প্রতি দিন সংক্রমণ বাড়ছে লাফিয়ে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy