দর্শনা বণিক।
শুক্রবার, ২৬ মার্চ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী কী ভাবে পালিত হচ্ছে সে দেশে? পাবনায় শ্যুটে ব্যস্ত কলকাতার অভিনেত্রী দর্শনা বণিক। তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার ডিজিটাল। হোয়াটসঅ্যাপে অভিনেত্রী জানালেন, ‘‘শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত। তাই জেলা বা শহর ঘুরে দেখতে পারিনি। যদিও সব জায়গাতেই ছুটির মেজাজ। সেটে প্রায় সব ছেলেরাই পাঞ্জাবি-পাজামা পরেছেন।’’ দর্শনা নিজেও সেজেছেন উৎসবের আমেজে। ইনস্টাগ্রামে শেয়ার হওয়া ছবি বলছে, আজ তাঁর পান্না সবুজ কামিজ জুড়ে অজস্র সাদা ভালবাসা-র মোটিফ।
ছবিতে দর্শনার চার পাশে অনেক মানুষ। সম্ভবত সবাই দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন দেখছেন। দর্শনা জানিয়েছেন, ভারতের মতোই এ দেশেও সকাল থেকেই চলছে কুচকাওয়াজ। পতাকা তোলা হয়েছে প্রায় সব জায়গাতেই। এমন দিনে তিনি ওপার বাংলায়। সেখানকার মানুষদের অনুভূতির সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে নিতে পেরে খুশি তিনিও।
১৯৭১ সালে এই দিনে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু করেছিল পাক বাহিনী। লক্ষ্য, যেনতেনপ্রকারেণ বাংলাদেশি বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা। এই দিন বহু প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মানচিত্রে উঠে আসে বাংলাদেশ। ২৫ মার্চ ৫০ বছরের ইতিহাসকে ফিরে দেখেছেন ২ বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে সাদা-কালো ছবি পোস্ট করেছিলেন অভিনেত্রী। যেখানে সারি দিয়ে মাটিতে পড়ে মানুষের কঙ্কাল। পাশে সারবদ্ধ অসংখ্য মানুষ। ক্যাপশন, ‘চরমতম নিষ্ঠুরতায় ঠিক আজকের দিন থেকে পাকিস্তানিরা শুরু করেছিল গণহত্যা, বাঙালিদের বিরুদ্ধে, ঠিক ৫০ বছর আগে…’।পাশাপাশি এ-ও জানিয়েছেন, ‘একাত্তরের শেষে পাকিস্তানিরা যখন বুঝল ওদের নিয়তি পরাজয়, জেনারেল রাও ফরমান আলি তালিকা বানাল এ দেশের সেরা মানুষদের। স্বাধীন বাংলাদেশকে নক্ষত্রহারা করার জন্য হত্যা করল বুদ্ধিজীবীদের। আজ সেই গণহত্যা দিবস’।
রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরেও হার মানেনি অভিনেত্রীর দেশ। তাই নিয়ে জয়ার গর্বও কম নয়, গণহত্যার রক্তাক্ত ধাপ পেরিয়ে মাথা উঁচু করে আছে বাংলাদেশ। তাঁর দাবি, যে জনতা মুক্তির স্বপ্নে মৃত্যুকে পেরিয়ে যাওয়ার সাহস দেখায়, গণহত্যার কী সাধ্য তাকে নিশ্চিহ্ন করে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy