আজ মনে হচ্ছে, দ্বিতীয় বার পিতৃহীন হলাম, মৃণাল সেনের মৃত্যুতে বললেন মমতা শঙ্কর।
একটা ব্যাপারে এই সে-দিন পর্যন্ত মৃণালদা আমার কাছে অভিমান করেছেন। ‘আকালের সন্ধানে’র জন্যও উনি আমায় কাস্ট করেছিলেন। কিন্তু দীনেন গুপ্তর ‘কলঙ্কিনী’র জন্য আগে ডেট দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। কিছুতেই সময় বার করতে পারিনি। তবে এক দিক দিয়ে হয়তো সেটা ভালই হয়েছিল। কারণ ওই চরিত্রটা স্মিতা পাটিল করেন। অত ভাল আমি করতে পারতাম না।
আজ মনে হচ্ছে, দ্বিতীয় বার পিতৃহীন হলাম। সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন দু’জনেই আমাকে যথেষ্ট সুযোগ দিয়েছেন। কিন্তু মৃণালদার সঙ্গে আমার জীবনের অনেক প্রথম জড়িয়ে। ‘পদাতিক’-এ আমার দাদার (আনন্দ শঙ্কর) মিউজ়িক। তাতে এক জায়গায় একটা হামিংয়ের কাজ আমার ছিল। মৃণালদা আমায় ১০০ টাকার একটা চেক দিলেন। সেই প্রথম রোজগার। প্রথম ছবি, ‘মৃগয়া’! মস্কোয় প্রথম ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যাওয়াও মৃণালদার সুবাদে।
ওঁর পদ্মপুকুরের বাড়িতে বহু আড্ডার স্মৃতি। মাঝেমধ্যে ওঁর নার্সদের ফোন করে মৃণালদার খবর নিতাম। শনিবার সন্ধেয় মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে কয়েক জনের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তখন থেকেই ভাবছি মৃণালদাকে একবার ফোন করে কথা বলি। রাত হয়ে গিয়েছিল। সে-ই সুযোগটা আর পেলাম না।
আরও পড়ুন: ‘আমাকে মৃণাল বলবি, মৃণালদা নয়’
আরও পড়ুন: ‘উনি আমার নাম বদলে রেখেছিলেন মাধবী’, স্মৃতিচারণে মাধবী
অনুলিখন: ঋজু বসু
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy