Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Anjan Dutta On Sreela Majumdar

শ্রীলা ভারতীয় পর্দায় ঝড় তুলেছিল, আমি ভাগ্যবান বলেই ওর সঙ্গে অভিনয় করতে পেরেছি: অঞ্জন দত্ত

বেশ কিছু দিন ধরেই ডিম্বাশয়ের ক্যানসারে ভুগছিলেন শ্রীলা। শনিবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়। অঞ্জন জানিয়েছেন, তিনি শ্রীলার অসুস্থতা সম্পর্কে জানতেন। তবে অভিনেত্রী নিজে থেকে তাঁকে কিছু বলেননি।

An image of Sreela Majumdar

শ্রীলা মজুমদারের স্মৃতিচারণায় অঞ্জন দত্ত। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ০২:৪০
Share: Save:

অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদারের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন অভিনেতা অঞ্জন দত্ত। বেশ কিছু সিনেমায় অঞ্জন তাঁর সহ-অভিনেতা হিসাবে কাজ করেছেন। শ্রীলা ছিলেন মৃণালের মানসকন্যা। অঞ্জন লিখেছেন, ‘‘ভাল অভিনেতা খুঁজে আনার ব্যাপারে খ্যাপামির পর্যায়ে আগ্রহ ছিল মৃণাল সেনের। তিনি শ্রীলাকে পরিচয় করিয়ে দেন দর্শকদের সঙ্গে। ভারতীয় পর্দায় ঝড় তুলেছিল শ্রীলা।’’ অঞ্জনের মতে, বহু ভারতীয় পরিচালক এবং অভিনেতা শ্রীলাকে বিস্ময়কর প্রতিভা বলেই মনে করতেন।

বেশ কিছু দিন ধরেই ডিম্বাশয়ের ক্যানসারে ভুগছিলেন শ্রীলা। শনিবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়। অঞ্জন জানিয়েছেন, তিনি শ্রীলার অসুস্থতা সম্পর্কে জানতেন। তবে অভিনেত্রী নিজে থেকে তাঁকে কিছু বলেননি। বরং অঞ্জন এই অসুস্থতার কথা শুনেছেন অভিনেত্রী মমতা শঙ্করের কাছ থেকে। তাঁরা তিন জনেই মৃণালের ছবিতে অভিনয় করেছেন। সে কথাও নিজের পোস্টে উল্লেখ করেছেন অঞ্জন। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমরা তিন জনই মৃণাল সেনের সংস্পর্শে এসেছি। তাঁর সঙ্গে কাজ করেছি। ২০২৩ সালে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘পালান’ ছবিতেও শ্রীলা, মমতা এবং আমি আবার একসঙ্গে কাজ করি। ওটাই আমাদের শেষ সিনেমা।’’ মারণরোগের সঙ্গে শ্রীলার এই লড়াই প্রসঙ্গে অঞ্জন লিখছেন, ‘‘শ্রীলা কখনও আমাকে বলেনি। এই লড়াই করার জন্য আমি ওর সাহসের প্রশংসা করি। আমি শ্রীলাকে স্যালুট করি, ওর বিরল সাহসিকতার জন্য।’’

সহ-অভিনেতা হিসাবে তো বটেই, পরিচালক অঞ্জনের সঙ্গেও কাজ করেছেন শ্রীলা। সে কথাও নিজের পোস্টে লিখেছেন অঞ্জন। তিনি লিখেছেন, ‘‘অভিনেত্রী শ্রীলার চোখ এবং সেই চোখে রাগ ফুটিয়ে তোলা— এই দুই ছিল তার সম্পদ। বেশ কিছু ছবিতে আমি সহ-অভিনেতা হিসেবে পেয়েছি শ্রীলাকে। আমার সৌভাগ্য, আমি ওর পরিচালক ও বন্ধু হওয়ার সুযোগও পেয়েছি। ওর মতো বন্ধুকে সব সময় মনে পড়বে। আমরা মৃণাল সেনের সন্তানতুল্য তো বটেই, একটি পরিবারের মতোই ছিলাম। কোনও রেষারেষি, প্রতিযোগিতা বা পরস্পরের প্রতি কোনও ক্ষোভ ছিল না।’’ শ্রীলার মৃত্যুসংবাদে তিনি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন বলেও লিখেছেন অঞ্জন। আরও লিখেছেন, অভিনীত ছবির মধ্য দিয়েই শ্রীলা দর্শকের দরবারে বেঁচে থাকবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE