দুই ছেলের সঙ্গে যে বাবার তেমন সুসম্পর্ক ছিল না, স্পষ্ট হয়ে যায় বিনোদ খন্নার অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার সময়ই। বাবার মরদেহে কেউ মুখাগ্নি করতেও চাননি! অথচ, সপ্তাহ গড়াল না, বাবার কথা স্মরণ করে ছোটবেলার ছবি পোস্ট করলেন বিনোদ-পুত্র রাহুল! সাদা-কালো সে সব ছবির কোনওটায় সদ্যোজাত পুত্রকে কোলে নিয়ে চুম্বনরত গর্বিত পিতা, তো কোনওটায় সমুদ্রসৈকতে দুই শিশু-সন্তানের সঙ্গে তাদের বাবা, কোনওটায় কিশোরবেলার রাহুল-অক্ষয়কে কোলে জাপটে ধরে হাসিমুখে বিনোদ খন্না! ছবির সঙ্গে রাহুলের ছোট্ট লেখা, ‘যেন হারানো দিনে ফিরে গেলাম! তুমিই আমাদের শিখিয়েছ কী করে সুভদ্র মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা যায়। কী করে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করে যেতে হয়। বিদায় ড্যাড, ১৯৪৬-২০১৭’।
বিনোদের সঙ্গে গীতাঞ্জলির বিয়ে ১৯৭১ সালে। গীতাঞ্জলির কোলে আসে দুই সন্তান। তাঁদের সুখী সংসার কত েয উজ্জ্বল মুহূর্তর মধ্য দিয়ে গিয়েছে, তারই সাক্ষী দুই সন্তানের সঙ্গে বাবার ছবিগুলো। সেই সুখের মধ্যেই তো হঠাৎ ছন্দপতন!
’৮২ সালে ওশোর শিষ্যত্ব নিয়ে বলিউড থেকে সরে দাঁড়ান বিনোদ। ফেরেন ’৮৭-তে। আর ’৯০ সালে বিনোদ বিয়ে করেন কবিতাকে। তাঁদের দুই সন্তানও হয়। ছেলে সাক্ষী, মেয়ে শ্রদ্ধা। বিনোদের দ্বিতীয় বিবাহ নাকি মেনে নিতে পারেননি তাঁর দুই পুত্র! অভিমানে বাবার জীবন থেকে প্রায় সরেই দাঁড়ান তাঁরা। পিতার চিরবিদায় কি সেই অভিমান মুছে দিয়ে গেল?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy