প্রয়াত অভিনেতা অভিষেকের মেয়ে।
অনেক কিছুই দেখা হল না অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের। নিজের শেষ ছবি ‘পঞ্চভুজ’ মুক্তির দোরগোড়ায়। বড় পর্দায় আবার ‘নায়ক’ হয়ে ফিরছিলেন তিনি। বহু বছর পরে ছবি মুক্তির সেই আনন্দ উপভোগ করতে পারলেন না। একই ভাবে এক মাত্র মেয়ে সাইনা সপ্তম শ্রেণিতে উঠল। সেই আনন্দ থেকেও বঞ্চিত ছোট-বড় পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা। আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিষেক-জায়া সংযুক্তা জানিয়েছেন, স্কুল যাওয়ার আগের দিন বাবার অভাব ভীষণ কষ্ট দিয়েছে তাঁদের মেয়েকে। অঝোরে কেঁদেছে ১৩ বছরের ডল।
শুক্রবার স্কুল যাওয়ার দিন সকালে বাবার ছবিকেই আঁকড়ে ধরেছে সে। আদরে আদরে ভরিয়ে দিয়েছে সদ্য চিরবিদায় নেওয়া বাবাকে। আশীর্বাদ চেয়েছে বাবার কাছে। ভেজা গলায় সংযুক্তা বলেছেন, ‘‘যে মেয়ে প্রতি মুহূর্তে অবিচলিত থেকে সমানে আগলে গিয়েছে আমাকে, তাকে এ ভাবে ভেঙে পড়তে দেখে প্রচণ্ড কষ্ট হয়েছে। তবু এখন তো আমিই ওর বাবা আমিই ওর মা। ওকে বলেছি, বাবা তোর মধ্যেই আশ্রয় নিয়েছেন। আগের মতো সারা ক্ষণ আমাদের আগলাচ্ছেন। আমি মিঠুকে প্রতি মুহূর্তে অনুভব করতে পারছি। তুইও পারবি।’’
অভিষেক থাকলে এ দিন কী করতেন? সংযুক্তার কথায়, নিজের হাতে মেয়ের টিফিন গুছিয়ে দেওয়া অভিষেকের প্রধান কাজ ছিল। নিজের হাতে টাইও বেঁধে দিতেন। সংযুক্তা টাই বাঁধতে পারেন না। তাই অভিষেকের বেঁধে রেখে যাওয়া টাই-ই এ দিন মেয়েকে পরিয়ে দিয়েছেন। তার পর নিজে স্কুলে ছেড়ে দিয়ে আসতেন। শ্যুট থেকে অবসর মিললে ডলকে নিয়েও আসতে যেতেন অভিনেতা।
বাবা নেই। এ বার থেকে স্কুলে একা একাই যাতায়াত করবে সাইনা? সংযুক্তার দাবি, একেবারেই নয়। তিনিই এ বার থেকে মেয়েকে নিয়ে যাতায়াত করবেন। একই সঙ্গে সবাইকে অনুরোধ জানান, অভিষেকের অনুরাগীরা যেন তাঁদের সন্তানকে দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেন। যাতে ‘বাবা’র মতোই মানুষ হয়ে উঠতে পারে সে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy