অনেক দিন পর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় আবার কমেডি রোলে। মূল কাহিনি মনোজ মিত্রের। তাঁর ‘পরবাস’ নাটক অবলম্বনে ছবির নাম ‘শুধু যাওয়া আসা।’
কেন এই ৮২ বছর বয়সে সৌমিত্র ফিরে আসছেন কমেডিতে? ‘‘হাল্কা কমেডির মোড়কে এই ছবির গল্পটা কিন্তু সিরিয়াস। সেই জন্যই ভাল লেগেছে চিত্রনাট্যটা। কমেডি রোলে আমার অভিনয় করতে ভাল লাগে। উত্তর কলকাতার একটা সাবেক বাড়ির পরিবেশে ঘোরাফেরা করবে আমার চরিত্রটা। চরিত্রের নাম গজমাধব, যে কিনা দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে ওই বাড়ির বাসিন্দা।’’
ছবির পরিচালক মণীশ ঘোষের সঙ্গেও আগে কাজ করেছেন সৌমিত্র।
এই ছবির একটা বড় পাওনা সৌমিত্রের সঙ্গে অনেক দিন পরে দেখা যাবে মনু মুখোপাধ্যায়কে। মনুর সঙ্গে সৌমিত্রকে এর আগে দেখা গিয়েছে ‘পাতালঘর’য়ে, ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’য়ে। মনুর অভিনয়ে ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’য়ের মছলি বাবার চরিত্র এখনও দর্শকদের মনে আছে।
ছবির গান লিখেছেন শ্রীজাত। যে গানের সঙ্গে মিশে গিয়েছে গজমাধবের বুকের ভেতরকার তিরতিরে যন্ত্রণা। সুরকার জয় সরকারও গজমাধবের মতো প্রবীণ মানুষের কথা ভেবে ছবিতে লোকসুর ব্যবহার করেছেন। বললেন, ‘‘গজমাধবের জীবনের সঙ্গে লোকগানের মেঠো সুর মেলে।’’
কেন মনোজ মিত্রের এই গল্প বেছে নিলেন পরিচালক মণীশ? ‘‘গজমাধব একজন সংবেদনশীল মানুষ। সেই সংবেদনশীলতা যা আমরা হারিয়ে ফেলতে বসেছি। স্রোতের টানে ভাসা বাঙালি দর্শকের মধ্যবিত্ত সেন্টিমেন্ট নিয়েই এই ছবি,’’ বলছেন পরিচালক।
হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারের জমানায় গজমাধবের চরিত্র, উত্তর কলকাতার বাড়ির নস্টালজিয়া—এই সব কি জেন ওয়াইকে আকর্ষণ করবে? মণীশ বললেন, ‘‘অবশ্যই করবে। এ ছবিতে গজমাধবের কাছেই জীবনের চাবিকাঠি খুঁজে পাবে জেন ওয়াই। সে ভাবেই গল্প বোনা হয়েছে।’’
গজমাধবের জীবনের গল্পে ছড়িয়ে পড়ে পাড়াপ্রতিবেশীদের জীবন। সকলের সঙ্গেই তার সম্পর্ক।
সেই সম্পর্কের ছায়াতেই এগিয়ে চলবে ছবি। রয়েছে একজোড়া তরুণতরুণী। যারা গজমাধবের ফেলে যাওয়া বাড়িতে থাকতে আসে। এই দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন কৌশিক রায় ও নবাগতা প্রিয়াঙ্কা। এই মুহূর্তে ‘শুধু যাওয়া আসা’ ছবির শ্যুটিং চলছে উত্তর কলকাতার আহিরিটোলা লেনের এক বাড়িতে।
আনাচে কানাচে
আরোগ্য: পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়।
কিছু দিন আগে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।
আপাতত মজে ইউরো কাপে। ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy