‘জুলি ২’ ছবির একটি দৃশ্য। ছবি: ইউটিউবের সৌজন্যে।
না! তিনি আর ‘সংস্কারী’ নন। সেই গম্ভীর ভাবমূর্তি পুরোটাই উধাও। বরং তিনি এখন অনেকের চেয়ে অনেক বেশি সাহসী। তিনি পহেলাজ নিহালনি। সেন্সর বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান।
নিহালনির সাহসিকতার প্রমাণ চান?
হাতেনাতে প্রমাণ মিলবে ‘জুলি ২’-এর ট্রেলার দেখলে। সদ্য মুক্তি পেয়েছে এ ছবির ট্রেলার। সাহসী দৃশ্য তো রয়েইছে, সঙ্গে এমন কিছু শব্দ যা ‘বিপ’ দিয়ে ব্যবহার করতে হয় সিনে পর্দায়। এই ছবির প্রেজেন্টার পহেলাজ নিহালনি।
আরও পড়ুন, হট ‘জুলি’র রূপে বলিউডে আসছেন ইনি
না! অবাক হবেন না। এই পহেলাজই দিন কয়েক আগে চূড়ান্ত সংস্কারের ভাবমূর্তি হয়ে বিরাজ করছিলেন সেন্সর বোর্ডের শীর্ষ পদে। তাঁর সংস্কারী ভূমিকা গত কয়েক বছরে যেন ‘বিভীষিকা’র আকার নিয়েছিল পরিচালক-প্রযোজকদের কাছে। দিন কয়েক আগেও শাহরুখ-অনুষ্কার ‘জব হ্যারি মেট সেজল’ থেকে ‘ইন্টারকোর্স’ শব্দটি বাদ দিতে চেয়েছিলেন। ‘লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা’র বিষয় নিয়ে তাঁর আপত্তি ছিল। ‘বাবুমশাই বন্দুবাজ’-এর যৌন দৃশ্যে ৪৮ টি কাটের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এ হেন উদাহরণ অজস্র। সেই নিহালনি আর পদ থেকে সরে যাওয়া নিহালনি কি দিক থেকে একই মানুষ? অন্তত মানসিকতার আঙ্গিকে? কোথায় গেল তাঁর সংস্কারী মনোভাব? বস্তুত প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েই। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ বলছেন, সেন্সর বোর্ডের কর্তা থাকলেও কি তিনি ‘জুলি ২’-এর মতো ছবি পরিবেশনা করতেন? আবার কেউ বলছেন, ভাগ্যিস নিহালনি আর সেন্সর কর্তার চেয়ারে নেই। সে কারণেই ‘জুলি ২’-এর মতো ছবি দেখতে পাব আমরা। আসলে যে ছবির নামের সঙ্গেই লেখা হয়েছে, ‘বোল্ড, বিউটিফুল অ্যান্ড ব্লেসড’ সে ছবির পরিবেশক নিহালনি! এখানেই খটকাটা লাগছে সিনে দুনিয়ার।
পরিচালক দীপক শিবদিশানির হাত ধরে ‘জুলি টু’-এর মাধ্যমে প্রথম বার বলিউডে পা রাখছেন দক্ষিণী তারকা রাই লক্ষ্মী। কেরিয়ারের শুরুতে এই অভিনেত্রীকে লক্ষ্মী রাই নামে চিনত সবাই। পরে নাম বদলে রাই লক্ষ্মী হয়েছেন তিনি। বলি ডেবিউয়ের প্রথম ধাপেই তাঁর সাহসী অথচ সাবলীল ভঙ্গি কিন্তু যথেষ্ট নজর কেড়েছে দর্শকদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy