কোন সময় ফল খেলে লাভ হবে বেশি? ছবি: শাটারস্টক।
‘খালিপেটে জল আর ভরাপেটে ফল’— এই কথাটি বেশ প্রচলিত। তবে ফলের পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে গেলে এবং ফল খেতে হবে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে। তবেই ফলে থাকা ভিটামিন, প্রোটিন এবং খনিজগুলি শরীরের উপকারে আসবে।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, দিনের শুরুতে ফল খাওয়া বেশ উপকারী। তবে খালিপেটে নয়, প্রাতরাশ সেরে তার পর ফল খাওয়াই ভাল। কারণ সকালের খাবার খেয়ে পেট ভার হলে, ফল সেই খাবার হজম করিয়ে দিতে পারে খুব সহজেই। প্লেটভর্তি ফলের সঙ্গে বাদাম এবং বিভিন্ন রকমের দানাশস্য সকালের জলখাবার হিসেবেও ভাল।
প্রাতরাশের পর ফল ফল খাওয়া কেন উপকারী?
১) পুষ্টিবিদদের মতে, খাওয়ার ধরন হওয়া উচিত পিরামিডের মতো। দিনের শুরুতে ভারী খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকা দরকার আর দিন যত এগোবে ততই হালকা খাবার খাওয়া উচিত। বেশ কিছু ফলে থাকে ডায়েটারি ফাইবার, যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতেও প্রাতরাশে ফল খাওয়া অভ্যাস করুন। এই সময় ফল খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভরাট থাকে, অন্য কিছু খাওয়ার ইচ্ছেও কমে।
২) জলের ঘাটতি হলেই হাজার রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। জলখাবারের পর জলের পরিমাণ বেশি রয়েছে, এমন ফল খেয়ে নিলে খুব বেশি ক্যালোরিও শরীরে প্রবেশ করে না, আর শরীরে জলের ঘাটতিও মেটে। শীতকালে এমনিতেই জল কম খাওয়া হয়, তাই এমন মরসুমে এই অভ্যাস বেশ উপকারী।
৩) জলখাবার ও দুপুরের খাওয়ার মাঝে খিদে পেলে ফল দিয়েই পেট ফরাতে পারেন। কম ক্যালোরি যুক্ত কমলালেবু, কিউয়ি, আপেল, পেয়ারা-জাতীয় ফল খেলে পেটও ভরে আর খুব বেশি ক্যালোরিও যায় না শরীরে। তাই এই অভ্যাস ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৪) শীতের মরসুমে সংক্রমণ এড়াতে সকালের জলখাবারের পর নিয়মিত ফল খাওয়ার অভ্যাস শুরু করতে পারেন। ফলে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। মরসুমি সংক্রমণ, ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি ঠেকাতে ফল খাওয়া অভ্যাস করুন।
৫) ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি ও ভিটামিন সি যুক্ত ফল হার্টের জন্য বেশ উপকারী। প্রাতরাশের পরে এই ধরনের ফল খেতে পারেন। হৃদ্যন্ত্র ভাল থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy