গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতেও লিচু খাওয়া প্রয়োজন। ছবি: সংগৃহীত।
মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু ভ্যাপসা গরম কাটছে না। জ্যৈষ্ঠ মাস পড়তেই পাকা আম-কাঁঠালের দেখা মিলছে। আর দু’দিন পরেই বাজার ছেয়ে যাবে লিচুতে। গরমে বাজার যেতে কষ্ট হয় ঠিকই। কিন্তু সুমিষ্ট লিচুর আশায় এক-দু’বার বাজারে যাওয়াই যায়। তবে শুধু খেতে ভাল লাগে বলেই নয়, তার পুষ্টিগুণের জন্যও গরমে লিচু খাওয়া প্রয়োজন। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, লিচুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এই উপাদানটি ত্বক ভাল রাখতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতেও এই ফলের জুড়ি মেলা ভার। গরমের তীব্র দাপট থেকে বাঁচতেও লিচু খাওয়া প্রয়োজন।
লিচু খেলে কী কী উপকার হতে পারে?
১) লিচুর মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, কপার এবং ভিটামিন সি। এই উপাদানগুলি হার্টের পক্ষে উপকারী। এ ছাড়াও লিচুর মধ্যে রয়েছে অলিগোনল, যা নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করতে সাহায্য করে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ নাইট্রিক অক্সাইড থাকলে হার্টে রক্ত চলাচল ভাল হয়। রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে লিচুর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম।
২) লিচুর মধ্যে রয়েছে এমন কিছু রাসায়নিক, যা ত্বকে ব্রণ, কালচে দাগ, মেচেতার মতো সমস্যা রুখে দিতে পারে। এই ফলের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট বলিরেখার সমস্যাও দূর করে।
৩) লিচুতে ক্যালোরি খুব কম, ফাইবার বেশি। তাই পরিমিত পরিমাণে লিচু খেলে দুম করে রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এক কাপ লিচুতে ক্যালোরির পরিমাণ ১২৫। তাই লিচু খেলেও চট করে ওজন বাড়ার আশঙ্কা নেই।
৪) লিচুর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাভেনল। এই উপাদানটি প্রদাহজনিত সমস্যা নিরাময় করতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে লিচু। তাই নিয়মিত এই ফল খেলে সংক্রমণজনিত সমস্যা বশে থাকে।
৫) নিয়মিত এই ফল খেলে হজমশক্তি ভাল হয়। লিচুর মধ্যে রয়েছে সহজপাচ্য ফাইবার। অন্ত্র ভাল রাখতে এই ফাইবারের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy