রক্তের শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে এই মশলা। ছবি: সংগৃহীত
রান্নার স্বাদ ও গন্ধ বাড়াতে জাফরান বা কেশরের কোনও তুলনা নেই। সামান্য কেশর যে কোনও পদে এনে দেয় বাদশাহি আমেজ। দাম অনেকটাই বেশি হলেও এর চাহিদা কম নয়। শুধু স্বাদ নয় কেশর পুষ্টিগুণেও ভরপুর।
স্মৃতিশক্তির বাড়াতেও এটি অত্যন্ত উপকারী। প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে কেশরে। এতে উপস্থিত ক্রোসিন আর ক্রোসেটিন নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। মানসিক অবসাদও কমায়। রক্তের শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে এই মশলা।
শীতকালে অনেকেই উষ্ণ দুধে কেশর মিশিয়ে খান। যা শরীর গরম করে এবং আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামান্য কেশর সারা রাত জলে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খালি পেটে সেই পানীয় খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
ঠিক কী কী গুণ রয়েছে এতে?
১) ঋতুঃস্রাবের সময় অনেকেই পেটে অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব করেন। এ ক্ষেত্রে কেশর জল দারুণ আরাম দেয়। দেহে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করতেও এই পানীয় দারুণ উপকারী।
২) কেশরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলি বার করে দেয়। যখন জলে মিশ্রিত করা হয়, তখন এই পানীয়টি আমাদের ত্বককে হাইড্রেট করতে এবং ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। ব্রণ, ত্বকের অন্যান্য সমস্যা থেকে দূরে রাখে।
৩) কেশর হল ক্রোসিন, সাফরানাল এবং পিক্রোক্রোসিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের একটি শক্তিশালী উৎস যা অনিদ্রার মতো স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি দিতে পারে।
৪) কেশর শরীরের বিপাকক্রিয়া বাড়ায়। আর বিপাকক্রিয়া বাড়লেই মেদ কম জমে। তাই কেউ যদি ওজন কমাতে চান, তা হলে খাদ্যতালিকায় কেশর রাখা যেতেই পারে।
৫) ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষগুলি ধ্বংস করতে কেশর ভীষণ উপকারী।
৬) রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও এই পানীয়টির জবাব নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy