মূত্রনালির সংক্রমণ না থাকলেও বাইরের কমোড ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা মেনে চলা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
মূত্রনালির সংক্রমণ মহিলাদের একটি সাধারণ সমস্যা। গোটা বিশ্বের প্রায় ২০ শতাংশ মহিলা এই সংক্রমণে ভুগছেন। তলপেটে ব্যথা, শীত শীত ভাব আর কাঁপুনি— প্রস্রাব সংক্রমণের প্রাথমিক উপসর্গ। প্রতি পাঁচ জন পূর্ণবয়স্কা মহিলার মধ্যে এক জন মূত্রনালির সংক্রমণে কষ্ট পান। জল কম খেলে প্রস্রাব সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এ ছাড়াও আঁটসাঁট অন্তর্বাস পরলে, অপরিচ্ছন্ন থাকলে, কৃমির সমস্যা থাকলে, প্রস্রাব চেপে রাখলেও প্রস্রাব সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে। আবার অনেকেরই ধারণা, কমোড থেকেও ছড়াতে পারে এই সংক্রমণ? এই ধারণা কি সত্যি?
অফিস, শপিং মলে গেলে সেখানকার শৌচালয় ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে। অনেকে ব্যবহার করেনও। সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা যে একেবারে অমূলক, তা নয়। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কমোডের ব্যাকটেরিয়া বেশি ক্ষণ জীবিত থাকতে পারে না। তা ছাড়া, ঠিক সে ভাবে ব্যাকটেরিয়া কমোড থেকে সরাসরি শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে সাধারণের ব্যবহৃত কমোড থেকে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা ততটাও নেই।
প্রস্রাব করার পর ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার অভাবে অনেক সময়ে সংক্রমণ হতে পারে। এ ছাড়া, অনেকেই প্রস্রাব দীর্ঘ ক্ষণ ধরে চেপে রাখেন। সেটাও মূত্রনালি সংক্রমণের অন্যতম কারণ। মূত্রনালির সংক্রমণ না থাকলেও বাইরের কমোড ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা মেনে চলা জরুরি। তা হলে আরও অন্যান্য অনেক রোগের আশঙ্কা এড়ানো যায়।
১) এখন অনেক ধরনের জীবাণুনাশক স্প্রে পাওয়া যায় বাজারে। শৌচাগারে কমোড ব্যবহারের আগে জীবাণুনাশক স্প্রে ছড়িয়ে নিন উপরে। ফ্লাশ করে তার পর ব্যবহার করুন। এতে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে। মূত্রাশয়ের সংক্রমণও এড়ানো যাবে।
২) শৌচাগারে গেলে স্যানিটাইজার ব্যবহার করা আবশ্যিক। বিশেষ করে কমোড ব্যবহারের পরে। সম্ভব হলে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। অফিসের শৌচাগারে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধোয়ার সুযোগ থাকলেও রাস্তার সব কয়েকটি শৌচালয়ে হ্যান্ডওয়াশ থাকে না। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই স্যানিটাইজার মেখে নিতে হবে।
৩) শৌচালয়ে গিয়ে কল চালাতে, ফ্লাশ করতে অথবা দরজার হাতল ধরার প্রয়োজন হলে টিস্যু কাগজ দিয়ে ধরুন। খালি হাতে ধরবেন না। কোথাও স্পর্শ করার পর হাত পরিষ্কার না করে অন্যত্র স্পর্শ করবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy