অম্বল হল বাঙালির বারো মাসের সমস্যা। ছবি: সংগৃহীত।
অম্বল হল বাঙালির বারো মাসের সমস্যা। বাইরের খাবার তো বটেই অনেক সময়ে ঘরোয়া খাবার খেয়েও পেট ভার, বুক জ্বালায় নাজেহাল হতে হয়। গ্যাসের সমস্যার থেকে চিরজীবনের মতো মুক্তি পেতে রোজের জীবনে বদল আনা জরুরি। নিয়মে বাঁধতে হয় জীবনকে। খাওয়াদাওয়া থেকে শরীরচর্চা— সুস্থ থাকতে সবটাই করতে হয় ঘড়ি ধরে এবং নিয়ম মেনে। কিন্তু পেশাগত ব্যস্ততা সামলে শরীরের যত্ন নেওয়ার উপায় কিংবা সময়, কোনওটাই থাকে না। সেই সঙ্গে ফিশ ফ্রাই, কাটলেট, চাউমিন, এগরোল দেখলেও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল হয়ে পড়ে। অগত্যা গ্যাস-অম্বলের হানা থেকে রেহাই পেতে ভরসা রাখতে হয় ওষুধে। অন্য দিকে, চিকিৎসকেদের পরামর্শ, দীর্ঘায়ু পেতে ঘন ঘন গ্যাসের ওষুধ না খাওয়াই শ্রেয়। তা হলে সুস্থ থাকার উপায় কী? সাম্প্রতিক একটি গবেষণা জানাচ্ছে, গ্যাসের সমাধান লুকিয়ে আছে কাঁচা হলুদে। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল’-এ।
২৫৪ জনের উপরে এই গবেষণাটি চালানো হয়েছিল। গবেষণায় অংশ নেওয়া সকলেরই বয়স ৩০-এর নীচে। প্রত্যেকেরই নিয়ম করে হলুদ খাওয়ার অভ্যাস। সেই সঙ্গে বাইরের খাবার খাওয়ারও প্রবণতা রয়েছে। কিন্তু গ্যাসের সমস্যা নেই কারও। পর পর কয়েক দিন বাইরের খাবার খেলেও শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়নি কারও ক্ষেত্রেই। হলুদে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যে কোনও সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে হলুদের উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়। হলুদ শরীরে জমে থাকা টক্সিন বাইরে বার করে দেয়। হলুদে থাকা কারকিউমিন সবচেয়ে বেশি উপকারী। এই উপাদান শরীরে জমে থাকা গ্যাস শোষণ করে নেয়। তাই নিয়ম করে যদি খালি পেটে কাঁচা হলুদ খাওয়ার অভ্যাস করা যায়, তা হলে গ্যাস-অম্বলে ভুগতে হবে না।
কাঁচা হলুদ খাওয়ার আরও একটি উপায় রয়েছে। হলুদ আর জোয়ানের জল তৈরি করে খেতে পারলে সত্যিই উপকার মিলবে। কী ভাবে বানাবেন? রাতে এক গ্লাস জলে জোয়ান ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে সেই জলে কাঁচা হলুদ দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর খেয়ে নিন। সপ্তাহে তিন দিন এই পানীয় খেলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা সহজে কাছে ঘেঁষতে পারবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy