ছবি: সংগৃহীত।
কোনও অসুখ নিঃশব্দে শরীরে হানা দিলেও সঠিক সময়ে তা জানা যায় না। যখন শরীরে রোগ লক্ষণ ফুটে ওঠে, তখন অনেকটা দেরি হয়ে যায়। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রস্রাবের রং দেখে অনেক সময় রোগ নির্ণয় করা যায়। স্বচ্ছ এবং সাদার বদলে যদি প্রস্রাবের রঙে খানিক বদল আসে, তা হলে, তা কিন্তু কোনও রোগের ইঙ্গিত হতে পারে।
ফ্যাকাশে হলুদ
শরীরে ইউরোবিলিন পিগমেন্ট উৎপাদনের কারণে সাধারণত প্রস্রাবের রং ফ্যাকাশে হয়। সাধারণত জল কম খেলে প্রস্রাবের রং হলুদ হয়। তবে শরীর যখন জলশূন্য হয়ে পড়ে, তখন কিডনি প্রস্রাব থেকে জল শোষণ করে। ফলে প্রস্রাবের স্বাভাবিক রং ঘনীভূত হয়ে হলুদ রং ধারণ করে। তাই এমন হলে অতি অবশ্যই বেশি করে জল খাওয়া জরুরি।
গাঢ় হলুদ
প্রস্রাবের রং যদি গাঢ় হলুদ হয়, সে ক্ষেত্রে জন্ডিসের একটা আশঙ্কা থেকে যায়। তেমন হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এ ছাড়াও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স কিংবা মূত্রনালির সংক্রমণ দূর করার কোনও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেলেও প্রস্রাবের রং হালকা কমলা বা হলুদ হতে পারে।
গোলাপি প্রস্রাব
এই রঙের প্রস্রাব দেখলে অনেকেই ভয় পেয়ে যান। তবে সব সময় গুরুতর সমস্যার কারণেই এমনটা যে হয়, তা নয়। চারটি কারণে এটা হতে পারে। প্রস্রাবে রক্ত চলে এলে কিংবা কোনও বিশেষ ওষুধ বা টক্সিনের কারণে এমনটা হয়। টক্সিন, লেড বা পারদের কারণেও গোলাপি রঙের প্রস্রাব হতে পারে। তবে যদি রক্তের কারণে হয় তা হলে ইউটিআই, টিউমর, প্রস্টেটের সমস্যা, কিংবা কিডনিতে স্টোন হয়ে থাকতে পারে।
ঘোলাটে প্রস্রাব
কিডনির সমস্যা বা ইউটিআই হলে প্রস্রাবের রং ঘোলাটে হয়ে যায়। তবে যদি মাঝেমাঝে আপনার ঘোলাটে প্রস্রাব হয়, তা হলে চিন্তার বিশেষ কিছু নেই। খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি হলে এমনটা হতে পারে। কিন্তু প্রতি দিন ঘোলাটে প্রস্রাব হলে অবশ্যই চিকিত্সকের কাছে যান।
কমলা প্রস্রাব
এই রঙের প্রস্রাবের বেশ কিছু অর্থ হতে পারে। তবে কমলা প্রস্রাব হলে বিশেষ চিন্তার কিছু নেই। কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবেও প্রস্রাবের রং কমলা হতে পারে। তবে যদি কমলা প্রস্রাবের সঙ্গে আপনার হালকা রঙের মলও হয়, তা হলে কিছুটা চিন্তার বিষয়। লিভারের সমস্যা থাকলে এমনটা হয়। দীর্ঘ দিন ধরে এমন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy