বদহজমের সমস্যায় প্রায় দিনই পেট ফুলছে? ছবি: শাটারস্টক।
অনেকেই সারা বছর ধরে হজমের সমস্যায় ভোগেন। গ্যাস-অম্বলের ভয়ে ভাজাভুজি, তেলমশলার দিকে ভুলেও তাকান না। কিন্তু তার পরেও হজমের গোলমাল কমছে কই! কেবল স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াই কিন্তু সব নয়। খাবার খাওয়ার ধরনে গলদ থাকলেও কিন্তু হতে পারে হজমের সমস্যা। তাই ‘কী খাচ্ছেন’-এর দিকে যেমন নজর দিতে হবে, তেমনই ‘কী ভাবে খাচ্ছেন’— সে দিকেও সমান নজর দিতে হবে বইকি! জেনে নিন, খাওয়ার সময় কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চললে বদহজমের মতো সমস্যা হবে না।
টাটকা,গরম খাবার খান:
যখনই খাবার খাবেন, সেটা গরম-গরম খেয়ে নেওয়াই ভাল। সদ্য রান্না করা বা গরম খাবার হজম হয় সহজে। দীর্ঘ দিন ফ্রিজ়ে রাখা বাসি খাবার খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। তাই অনেকটা খাবার বানিয়ে ফ্রিজ়ে না রেখে অল্প খাবার রান্না করে দিনের দিন খেয়ে ফেলাই ভাল।
খিদে পেলে তবেই খান:
খিদে পায়নি, অথচ ডায়েট বজায় রাখতে গিয়ে এক বারে প্রচুর ফল খাচ্ছেন? ভুলেও এই কাজটি করবেন না। যতটা খিদে পেয়েছে, ততটাই খান। আর খিদে না পেলে একেবারেই খাবেন না। পেটে খিদে না থাকা অবস্থায় খেলে কিন্তু সমস্যা বাড়ে। খাবারের পরিমাণের উপর নজর রাখুন। বদহজমের সমস্যা থাকলে এক বারে অনেকটা খাবার না খাওয়াই ভাল। অল্প খাবার বারে বারে খাওয়ার অভ্যাস করুন।
খাবার সময় তাড়াহুড়ো নয়:
কাজে বেরোনোর তাড়ায় কোনও মতে মুখে খাবার দিয়ে ছুটবেন না। এতে বদহজমের সমস্যা বাড়ে। ঠিক মতো চিবিয়ে খাবার না খেলে কিন্তু হজম হয় না। তাড়াহুড়ো করে অনেকেই কম চিবিয়ে খাবার খান, সেটা কিন্তু বদহজমের কারণ হতে পারে। দরকারে ছোট ছোট গ্রাস তুলুন এবং সময় নিয়ে খান।
রাতের খাবার খেতে খুব বেশি দেরি করবেন না:
বদহজমের সমস্যা থাকলে রাতে দেরি করে খাওয়া চলবে না। খাওয়াদাওয়ার পরেই বিছানায় শুতে যাওয়া বদহজমের অন্যতম কারণ। খাওয়ার পর কিছু ক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। খাওয়া ও ঘুমোতে যাওয়ার মাঝে অন্তত দু’থেকে তিন ঘণ্টা সময় হাতে রাখুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy