ফুসফুসকে যত্নে রাখতে কেবল ধূমপান ছাড়লেই হবে না, খাদ্যাভাসেও আনতে হবে বেশ কিছু বদল। ছবি: শাটারস্টক।
নতুন বছরে ফিট থাকার পরিকল্পনা নিচ্ছেন? শরীরচর্চা করার পাশাপাশি ফুসফুসের প্রতি হয়ে উঠুন আরও একটু বেশি যত্নবান। সাধারণত ফুসফুস কতটা সুস্থ রয়েছে, তা বোঝা যায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের হিসাবে তার বাতাস ধরে রাখার ক্ষমতা দেখে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই ধারণক্ষমতা কমে। তাই বয়স ৪০ পেরোলেই ফুসফুসের প্রতি নিয়মিত বেশি খেয়াল রাখা দরকার। কম বয়স থেকেই সেই যত্নের পাঠ শুরু হলে তা আরও ভাল ফলদায়ক। ফের বাড়ছে করোনার দাপট, তাই এখন ফুসফুসের প্রতি বাড়তি যত্ন নিতেই হবে।
ফুসফুসকে যত্নে রাখতে কেবল ধূমপান ছাড়লেই হবে না, খাদ্যাভাসেও আনতে হবে বেশ কিছু বদল। এমন কিছু শাকসব্জি ও ফল আছে, যা ফুসফুসকে চাঙ্গা রাখে। জেনে নিন কী কী পাতে পড়লে ভাল থাকবে ফুসফুস।
পেঁয়াজ ও রসুন: এই দুই আনাজ প্রদাহের প্রবণতা কমায়। সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি জোগায়। ‘জার্নাল অফ ক্যানসার এপিডেমিওলজি’ ও ‘বায়োমার্কার্স অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এ প্রকাশিত প্রবন্ধে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যে সব ধূমপায়ী কাঁচা রসুন খান, ফুসফুসের বিভিন্ন অসুখে ভোগার আশঙ্কা প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যায় তাঁদের।
আদা: প্রদাহ কমায়। অল্প করে আদা কুচি নিয়মিত খেলে ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
লঙ্কা: কাঁচালঙ্কা খেলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। সংক্রমণের আশঙ্কা কমে।
তিসি বীজ: তিসির বীজে আছে ভিটামিন ই, বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আখরোটের ওমেগা থ্রি কার্যকারিতা বাড়ায় ফুসফুসের।
হলুদ: হলুদের কারকিউমিন প্রদাহ কমায়। এই সময়ে নিয়মিত দুধ-হলুদ রাখুন ডায়েটে। ফুসফুস চাঙ্গা রাখতে এই পানীয় দারুণ উপকারী।
ফল ও সব্জি: আপেল, পেয়ারা, শসা, সবেদা— এই সব ফল ফুসফুসের যত্নের জন্য খুবই ভাল। আপেল ও বাতাবি লেবুর ফ্ল্যাভেনয়েড ও ভিটামিন সি নিশ্চিত ভাবে কার্যকারিতা বাড়ায় ফুসফুসের। গাজর, কুমড়ো, বেল পেপারে থাকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ভিটামিন সি। সারা শরীরের পাশাপাশি ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এই সব সব্জি। কাজেই এগুলিও রাখতে হবে পাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy