নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে সারা দিনই শরীর ভালো থাকে। ছবি: সংগৃহীত।
যোগাভ্যাস করলে শরীর ভাল থাকে। তাই ৪০-এর পর থেকেই অনেকে চেষ্টা করেন নিয়মিত ব্যায়াম করতে। যত কাজই থাকুক না কেন, সময় বার করে ব্যায়াম করে নেওয়া চাই-ই চাই। শুধু শরীর নয়, মানসিক স্বাস্থ্যও ভাল থাকে যোগাভ্যাস করলে। কিন্তু সমস্যা হল, যে বন্ধুর কথা শুনে যোগচর্চা করতে শুরু করেছেন, তাঁর যেমন উন্নতি হচ্ছে তেমনটা আপনার হচ্ছে না। সারা দিন নানা কাজের মধ্যে তিনি যতটা ইতিবাচক থাকেন, আপনার ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটছে না। তা হলে কি নিয়মে কোনও ভুল হয়ে যাচ্ছে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যোগব্যায়ামের ফল যেমন শরীর এবং মনের উপর প্রতিফলিত হয়, তেমনই এই অভ্যাস শরীরে কোনও প্রভাব ফেলছে কি না তা-ও বোঝা যায় সহজেই।
১) দিনের শেষেও সমান এনার্জি
দিনের শুরুতে কাজের গতি যেমন থাকে, শেষ বেলায় সমান উদ্যম থাকে না অনেকেরই। কিন্তু নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে সারা দিনই শরীরে সেই স্ফূর্তি থাকার কথা। যোগাভ্যাস করলে শরীর এবং মন, দুই-ই ভাল থাকে। ফলে সারা দিনই চনমনে ভাব বজায় থাকে।
২) কোষ্ঠ পরিষ্কার হওয়া
নিয়মিত যোগচর্চা করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। তবে শরীরে প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সক্রিয় এবং কার্যকরী করে তোলার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম আছে। নিয়মিত কোষ্ঠ পরিষ্কার হলে বুঝতে হবে, যোগব্যায়ামের প্রভাব পড়ছে শরীরে।
৩) ঘুম ভাঙার পর থেকে চনমনে ভাব
৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোনোর পরও যদি ক্লান্তি না কাটে, তা হলে বুঝতে হবে যোগব্যায়ামে কোথাও সমস্যা থেকে যাচ্ছে। কাজে অনীহা, ঘুম থেকে ওঠার পরও ঝিমুনি ভাব থাকা কিন্তু কাজের কথা নয়।
৪) ঠিক সময়ে ঋতুস্রাব
মেয়েদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে ঋতুস্রাবের উপর তার প্রভাব পড়তে পারে। তবে, নিয়মিত যোগভ্যাস করলে ঋতুস্রাবের কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। শুধু তাই নয়, ঋতুস্রাবজনিত সমস্যাও অনেকটা লাঘব করা সম্ভব যোগব্যায়াম দিয়েই। তাই প্রতি মাসে সঠিক সময়ে ঋতুস্রাব হলে বুঝতে হবে যোগব্যায়ামের উপকার মিলছে।
৫) মন ফুরফুরে থাকে
যোগাভ্যাসের মাধ্যমে শরীর এবং মনের যোগ ঘটাতে না পারলে, ইতিবাচক কোনও প্রভাবই পড়বে না। নিয়মিত যোগচর্চা করলে মন ফুরফুরে থাকে। ঘরে হোক বা বাইরে কাজের চাপ সামাল দিয়েও যদি মন ভাল থাকে, তা হলে বুঝবেন যোগব্যায়াম করে লাভ হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy