ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ মূত্রাশয়ের পেশির সমস্যা। প্রতীকী ছবি।
গাড়িতে করে ভ্রমণে বেরিয়েছেন। কিন্তু কিছু দূর যেতেই প্রস্রাবের বেগ এল। সমস্যা এতই তীব্র যে গাড়ি দাঁড় করাতে হল রাস্তায় পাশে। কিংবা ঠান্ডায় লেপের তলায় আরাম করে বসে থাকার চেষ্টা করছেন, কিন্তু বার বার প্রস্রাবের ঠেলায় যেতে হচ্ছে শৌচাগারে। এমন ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ মূত্রাশয়ের পেশির সমস্যা। যাঁদের মূত্রথলির পেশি দুর্বল হয়, তাঁরা বেশি ক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখতে পারেন না। এই সমস্যা দীর্ঘ দিন চলতে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। ওষুধ তো খাবেনই, তবে তার সঙ্গে কিছু কিছু খাবার বা পানীয় খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিলে কিছুটা আরাম মিলতে পারে এই সমস্যা থেকে।
১। নরম পানীয়: দেহে প্রয়োজনের থেকে বেশি পরিমাণ পানীয় গেলে যেমন সমস্যা বাড়ে, তেমনই প্রয়োজনের থেকে কম পানীয়তেও সমস্যা হয়। সোডা দেওয়া পানীয় খেলে জলের পরিমাণ বোঝা যায় না। তাই মূত্রাশয়ের পেশি দুর্বল হলে সোডা-যুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলাই ভাল। ঠান্ডা পানীয় বা লেমনেড মূত্রাশয়ের পেশিকে উত্তেজিত করে। ফলে সমস্যা বাড়ে।
২। চা-কফি: একই কথা প্রযোজ্য চা কিংবা কফির ক্ষেত্রেও। যাঁদের মূত্রাশয়ের পেশি দুর্বল তাঁরা বার বার চা-কফি খাবেন না। এতে ‘ক্যাফেইন’ জাতীয় উপাদান থাকে। এই উপাদানটি মূত্রাশয়ের পেশির উপর চাপ দেয়। ফলে এই সমস্যা বাড়তে থাকে।
৩। বিশেষ কিছু ফল: অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি এমন কিছু ফলও মূত্রাশয়ের সমস্যায় এড়িয়ে যাওয়া উচিত। এমনটাই বলছে মায়ো ক্লিনিক হাসপাতালের প্রতিবেদন। কমলালেবু, আঙুর, মুসম্বি ও পাতিলেবুর মতো ফল এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সেই প্রতিবেদনে। টম্যাটো থেকে তৈরি বিভিন্ন খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৪। মদ: মদের বিপাক একটু আলাদা ভাবে হয়। কিন্তু যে হেতু মদও এক ধরনের তরল, তাই মদ্যপানের পর তৃষ্ণা কমে আসে। ফলে শরীর শুকিয়ে এলেও বোঝা যায় না। এতে চাপ বাড়ে মূত্রাশয়ের উপর। কাজেই যাঁদের ঘন ঘন প্রস্রাব পায়, তাঁদের মদ্যপান এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
৫। চিনি: এমনিতেই ডায়াবিটিস থাকলে বার বার মূত্রত্যাগের বেগ আসে। চিনি খেলে সেই সমস্যা বাড়বে। অনেকেই চিনির বদলে কৃত্রিম চিনি খান। কিন্তু গবেষণা বলছে, কৃত্রিম চিনি বা সুইটনারেও এমন কিছু উপাদান থাকে, যেগুলি মূত্রাশয়ের পেশিকে উত্তেজিত করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy