উপোস করলে শরীর থেকে ক্ষতিকর সব টক্সিন বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়। ছবি: সংগৃহীত
বিভিন্ন ধর্মে উপোস করার প্রথা চলে আসছে প্রাচীন যুগ থেকে। মুসলিম ধর্মে রমজানের সময় সারা দিন না খেয়ে সন্ধেবেলায় খাওয়ার রেওয়াজ। তেমনই হিন্দু ধর্মে বাড়িতে যে কোনও পুজো হলেই উপোস করে থাকেন সকলে। পুজো শেষ হলে ঠাকুরের ভোগ খেয়েই উপোস ভাঙেন ভক্তরা।
উপোস করে থাকলে কি শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়, না কি আদতে ভালই হয়? উপোস করলে শরীর থেকে ক্ষতিকর সব টক্সিন বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়। ফলে দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ত্বকও ভাল থাকে। উপোসের ফলে মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটে। পিসিওএস, অবিসিটি, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং লিভারের সমস্যায় নিয়ম মেনে উপোস করলে সুফল পাওয়া য়ায়। শুধু তাই নয়, উপোস করলে হজমশক্তি ভাল হয়। বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা কমে যেতে সময় লাগে না। ইদানীং দ্রুত মেদ ঝরাতে অনেকেই ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ করেন। তাই কেবল ধার্মিক কারণেই নয়, সুস্বাস্থ্য পেতেও উপোস করা যেতেই পারে।
অনেকেই উপোসের সময় জল পর্যন্ত খান না। কেউ কেউ আবার উপোস চলাকালীন বিভিন্ন রকম পানীয় খান, তবে শস্যজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলেন। জেনে নিন, উপোস করলে আপনি কী কী খেতে পারেন।
উপোসের সময় বিভিন্ন রকম ফল খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া খাবারের তালিকায় নারকেল, কাজু বাদাম, আমন্ড, খেজুর, আখরোটও রাখতে পারেন । উপোসের দিনে দুধ, দই, ছাঁচ খাওয়া যেতেই পারে। ডাবের জল কিংবা আখের রসও দারুণ উপকারী। সাবুদানাও খেতে পারেন। এই ধরনের খাবারগুলি খেলে উপোসকালীন অবস্থাতেও শরীর চাঙ্গা থাকবে।
ভাজাভুজি, তৈলাক্ত বা মশলাদার কোনও খাবার খেয়ে উপোস ভাঙবেন না। সারা দিন খাবার ও জলের অভাবে শরীরে ডিহাইড্রেশন হয়। তার উপর অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার খেলে শরীর আরও জল টানবে। শরীরে অস্বস্তিবোধ হবে। উপোস ভাঙার পর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জল খাওয়া। তাই অল্প অল্প জল খেতে থাকুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy