রাতে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমাবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত।
অফিস, বাড়ি, ব্যক্তিগত দায়দায়িত্ব, সব সামলে আলাদা করে নিজের জন্য সময় পাওয়া যায় না। নিজেকে সময় দেওয়া, নিজের যত্ন নেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল পর্যাপ্ত ঘুমোনো। ঘুমের উপর নির্ভর করে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ভালমন্দ। তাই সুস্থ থাকতে ঘুমের কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু কাজের চাপে ঘুমই সবচেয়ে কম হয় অনেকের। তার উপর রাত জেগে সিনেমা, সিরিজ় দেখার নেশা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। সব মিলিয়ে ফিট থাকতে যত ক্ষণ ঘুমোনোর কথা, তার চেয়ে কম ঘুম হয়। দীর্ঘ দিন ধরেই এমন চলতে থাকে। কিন্তু অনেকেই বিষয়টি নিয়ে ওয়াকিবহাল নন। চেষ্টা করেও তখন কিছুতেই ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোনো যায় না। শরীর চাঙ্গা রাখতে, রোগবালাইয়ের ঝুঁকি কমাতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সবার আগে কিন্তু চাই পর্যাপ্ত ঘুম। জেনে নিন, কী ভাবে দিনে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোনোর অভ্যাস করবেন।
১) অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে হলে ক্যাফিনের পরিমাণ কমাতে হবে। চা, কফিতে ক্যাফিন থাকে। ক্যাফিনে থাকা অ্যাডিনোসিন যৌগ ঘুম আসতে বাধা দেয়। তাই সন্ধ্যার পর চা-কফি পান না করাই ভাল।
২) রাতে হালকা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। অনেকেই সারা দিনের শেষে ভালমন্দ খান রাতেই। পরিমাণ আর পদের সংখ্যা দু’টোই বেশি থাকে নৈশভোজে। ভারী খাবার হজম হতে বেশি সময় নেয়। ঘুমোনোর আগে শরীরকে বাড়তি শক্তি খরচ করতে হয় হজমের জন্য। তাই ঘুমের চক্রে ব্যাঘাত ঘটে। রাতের খাবার যত হালকা রাখবেন, ততই ভাল।
৩) মানসিক চাপ ও অনিদ্রার সম্পর্ক বেশ নিবিড়। যদি মানসিক চাপের সমস্যা থাকে, তবে অবশ্যই মনোবিদের পরামর্শ নিতে হবে। ধ্যান, প্রাণায়াম, যোগাসন ঘুমের সমস্যা দূর করে। প্রতি দিন নিয়ম করে এগুলি অনুশীলন করলে মানসিক চাপ ও অনিদ্রা, দুই সমস্যা থেকেই মুক্তি মিলতে পারে।
৪) প্রতিদিন ঘুমোতে যাওয়ার আগে একটি নির্দিষ্ট অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। বই পড়তে পারেন, লিখতে পারেন রোজনামচা। আপাত ভাবে তুচ্ছ মনে হলেও এই ধরনের অভ্যাস দীর্ঘস্থায়ী ভাবে অনিদ্রা দূর করতেও উপকারী।
৫) ঘুমোতে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই বন্ধ করতে হবে বৈদ্যুতিন সামগ্রীর ব্যবহার। শুতে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে থেকে ল্যাপটপ, টেলিভিশন বা ফোনের পর্দায় চোখ রাখা চলবে না একেবারেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy