চোখ বাঁচাতে রাস্তায় বেরোনোর আগে কী কী সতর্কতা নেবেন? ছবি: সংগৃহীত।
শহরে শীতের পরশ ধীরে ধীরে পড়তে শুরু করেছে। যদিও ভিড় বাস বা মেট্রোয় এখনও ঘামছেন মানুষ, তবে বিকেল গড়ালে আবার খানিক ঠান্ডার আমেজ। শীতের এই খেয়ালিপনায় জাঁকিয়ে বসেছে অসুখ-বিসুখ। হাঁচি-কাশি, জ্বর-জ্বর ভাব, গা-হাত-পা ম্যাজম্যাজ— এমন উপসর্গ এখন ঘরে ঘরে। চিকিৎসক এবং পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর নেপথ্যে রয়েছে দূষণ। শীতের শুষ্কতা আর দূষণ— এই দুইয়ের ফলায় ভুগছেন কলকাতাবাসী। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ন, গাড়ির ধোঁয়া— নানাবিধ কারণে বায়ুদূষণ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। কয়েক দিন পরেই দীপাবলি। বাজির ধোঁয়ায় বায়ুদূষণের তীব্রতা আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। বায়ুদূষণের কারণে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি ছাড়াও চোখের অসুখের প্রকোপও বাড়ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দূষণের কারণে চোখে অস্বস্তি, চোখ থেকে জল পড়া, চোখে চুলকানির মতো নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন মানুষ।
বায়ুদূষণের কারণে বিশেষ করে ধোঁয়াশার কারণে ড্রাই আইজ়, কনজাঙ্কটিভাইটিস, চোখের পাতা ফুলে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যার শিকার হচ্ছেন মানুষ। বাতাসে কার্বন-ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজ়েনের মতো গ্যাসের প্রকোপ বাড়লে চোখের প্রদাহ বাড়ে। দূষণের হাত থেকে চোখকে বাঁচাতে কী ভাবে সতর্ক হবেন?
১) রাস্তায় বেরোলে সানগ্লাস ব্যবহার করুন, চোখ সুরক্ষিত থাকবে।
২) দূষণের জেরে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়, তাতে আরও সমস্যা বাড়ে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আই ড্রপ ব্যবহার করুন। ঘন ঘন চোখে আঙুল দিয়ে ঘষাঘষি করবেন না। এতে চোখ আরও শুষ্ক হয়ে যায়।
৩) শরীরে জলের ঘাটতি হলেও চোখের সমস্যা বেড়ে যায়, তাই শরীরে জলের পর্যাপ্ত জোগান দিতে হবে। শীতকালেও দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার জল খাওয়া জরুরি।
৪) কালীপুজোর আগে এবং পরে বাতাসে দূষণের পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। ওই সময় যতটা সম্ভব বাড়ির ভিতরে থাকার চেষ্টা করুন। বাইরে বেরোলেও সানগ্লাস পরে তবেই বেরোন।
৫) চোখে কোনও রকম সংক্রমণ হলে ফেলে রাখবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও রকম আইড্রপ ব্যবহার করবেন না। চোখ লাল হলে, ফুলে গেলে, চুলকানি হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy