প্রতীকী ছবি।
রোগা হবেন বলে বেশ কিছু দিন ধরেই ডায়েট শুরু করেছেন সুদীপ্তা। নিজেই একটি ডায়েট রুটিন তৈরি করেছেন। সেটা মেনেই চলছেন। সেই রুটিন থেকে প্রথমেই তিনি বাদ দিয়েছেন ভাত। তবে রুটি খাচ্ছেন। সুদীপ্তার ধারণা, ভাত খেলে ওজন কমানো সম্ভব হবে না। তবে কার্বোহাইড্রেটের ঘা়টতি মেটাতে একটি হলেও রুটি খাচ্ছেন রোজ।
ভাত না কি রুটি? ওজন কমাতে কোনটি বেশি উপকারী— তা নিয়ে একটা ধন্দ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে অনেকেই রুটিকেই বেশি প্রাধান্য দেন। ভাত খেলেই ওজন বেড়ে যেতে পারে, এমন একটি আশঙ্কা রয়েছে অনেকের মনেই। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদদেরও কি একই মত? পুষ্টিবিদদেরা অবশ্য সম্পূর্ণ অন্য কথা বলে থাকেন। রুটি এবং ভাত দু’টিরই পুষ্টিগুণে পার্থক্য রয়েছে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দু’টিই পাতে রাখা যেতে পারে।
অনেকেই আছেন, যাঁরা সারা সপ্তাহে রুটি খান। ছুটির দিন কিংবা অন্য কোনও এক দিন ভাত খান। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, এটি ভুল নিয়ম। সপ্তাহে চার দিন রুটি খেলে দু’দিন ভাত খেতেই হবে। তবে রুটি খেলেও ওজন বেড়ে যেতে পারে। তবে গমের চেয়ে রাগি, জোয়ার, বাজরা দিয়ে তৈরি রুটি ওজন কমানোর জন্য বেশি উপকারী। কারণ এগুলির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম থাকে। ফলে শরীরে শর্করার মাত্রাও বৃদ্ধি পায় না। জোয়ার, বাজরা এমনিতেই বেশ পুষ্টিকর। ছিপছিপে থাকতে সাহায্য করে এগুলি।
ওজন কমানোর ডায়েটেও ভাত রাখা যায়। তবে এমনি সাদা ভাত খেলে কিন্তু ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বরং ব্রাউন রাইস খেলে খেতে পারেন। বেশি উপকার পাবেন। রুটিতে তাও গ্লুটেন থাকে। কিন্তু ব্রাউন রাইস গ্লুটেন মুক্ত।
ওজন কমাতে ভাত এবং রুটি দু’টিরই প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কোনও একটি খাবার খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিলে বরং মুশকিল। সবগুলিই যদি অল্প পরিমাণে খাওয়া যায়, তা হলে ওজন হাতের মুঠোয় রাখা মুশকিলের নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy