এখন কেবল তারকারা নন, সাধারণের মধ্যেও বাড়ছে কৃত্রিম ভাবে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে সুন্দর করে তোলার চাহিদা। ছবি: শাটারস্টক।
বলিউডে কৃত্রিম ভাবে সুন্দর হওয়ার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কখনও ‘নোজ় জব’ আবার কখনও বা ঠোঁটের ভোল পাল্টে দেওয়া ‘লিপ জব’— চাহিদার কোনও শেষ নেই। সব সময় যে সমস্ত অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে, এমনটাও নয়। বিভিন্ন বলিসুন্দরী বিভিন্ন সময় প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন। তবে এখন কেবল তারকাদের মধ্যেও নয়, সাধারণের মধ্যেও বাড়ছে কৃত্রিম ভাবে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে সুন্দর করে তোলার চাহিদা।
‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ফেশিয়াল প্লাস্টিক অ্যান্ড রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারি’-র একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ৭৫ শতাংশ প্লাস্টিক সার্জানের স্বীকার করেছেন যে, তাঁদের ৩০ বছরের নীচে গ্রাহক সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। নিউ ইয়র্কের প্লাস্টিক সার্জন অ্যাসলে আমালফি জানিয়েছেন যে, এখন তাঁর কাছে যাঁরা আসেন, তাঁদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশই হল তরুণ সম্প্রদায়। অ্যাসলে বলেন, ‘‘এখন তরুণীরা অল্প বয়স থেকেই নিজের ত্বক পরিচর্যার বিষয় বেশ সতর্ক থাকেন। যে তরুণীরা আমার কাছে আসেন, তাঁদের অধিকাংশই দাবি করেন যে, তাঁরা স্তনের আকার বাড়াতে চান, কেউ স্তন উত্তোলন করতে চান কেউ আবার বোটক্স ইনজেকশন নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আগে এই সব দাবিগুলি বেশি বয়সি মহিলারা করতেন, তবে এখন অল্প বয়স থেকেই তরুণীরা সেই দিকে ঝুঁকছেন।’’
প্লাস্টিক সার্জারি করানোর পর আগে একটা প্রবণতা ছিল যে, আদৌ যে তাঁর প্লাস্টিক সার্জারি হয়েছে, সে কথা কেউ প্রকাশ্যে আনতে চাইতেন না! সবটাই হত চুপিচুপি। তবে এখন ছবিটা খানিকটা বদলেছে। পশ্চিমের দেশগুলিতেই হোক বা ভারতে, অনেকেই এখন প্লাস্টিক সার্জারির কথা স্বীকার করছেন। সম্প্রতি এই বিষয়ে সরাসরি কথা বলেছেন অভিনেত্রী শ্রুতি হাসন। বছর দুয়েক আগে প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে নাক তীক্ষ্ণ করেছেন, পাতলা ঠোঁট ভরাট করিয়েছেন তিনি। তা নিয়ে লোকে মন্তব্য করলে কড়া জবাবও দিয়েছেন অভিনেত্রী। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি মুখে প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছি, এ কথা স্বীকার করতে লজ্জা পাই না। এ নিয়ে আমি খুশি। কিন্তু আমি কি এটা প্রচার করি? না। আমি কি এর বিরুদ্ধে? না। আমি দেহ-মনের গতিবিধির স্বাচ্ছন্দ্য পছন্দ করি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy