শীতে সুস্থ থাকার নিয়মকানুন। ছবি: সংগৃহীত।
দুয়ারে শীতকাল। ইতিমধ্যেই ঠান্ডার আমেজ পড়ে গিয়েছে চারদিকে। ভোর আর রাতের দিকে একটা হালকা শিরাশিরানি ভাব। গরম পোশাকও আলমারি থেকে বেরোতে শুরু করেছে। লেপ, কম্বলও বাক্সের অন্ধকার থেকে বেরিয়ে ছাদে রোদ পোহাচ্ছে। শীতকালে ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি। এই মরসুমে রোগবালাই যেন পিছু ছাড়তে চায় না। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, ফ্লু— জাঁকিয়ে বসে শারীরিক অসুস্থতা। এ দিকে শীতকাল হল উৎসবের মরসুম। আনন্দ, উদ্যাপনে কেটে যায় গোটা শীত। তবে শারীরিক ভাবে ফিট থাকা চাই। শীতের অসুখ যাতে হানা দিতে না পারে, তার জন্য আগে থেকেই সুরক্ষিত থাকা জরুরি। রোগের সঙ্গে লড়াই করতে কোন নিয়মগুলি মেনে চলবেন?
১) নভেম্বর শেষ হতে চলল। ডিসেম্বরের শুরুতেই ঠান্ডা পড়ার কথা। তবে, বাইরে বেরোলে ঠান্ডার আমেজ বেশ বোঝা যাচ্ছে। তাই ঝুঁকি নিয়ে লাভ নেই। এই সময় বাইরে গেলে একটু মোটা পোশাক পরে যাওয়াই শ্রেয়। লম্বা হাতা জামা পরলে ভাল হয়। রাতের দিকে শিশির পড়ে। বাড়ির বাইরে থাকলে মাথায় একটা পাতলা স্কার্ফ জড়িয়ে নেওয়া জরুরি। নয়তো ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি হতে পারে।
২) শীতকালীন অসুখ মানেই যে তা ঠান্ডা লেগে হচ্ছে, এমন নয়। ভাইরাসজনিত অসুখও এই সময় হানা দেয়। তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি। বাইরে থেকে ফিরে ভাল করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। সঙ্গে স্যানিটাইজার রাখতে পারলে খুব ভাল হয়। খাবার খাওয়ার আগে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
৩) ঠান্ডা জল খাওয়া কমাতে হবে। বাইরে থেকে ফিরেই ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা জল ঢক ঢক করে খেয়ে নিলে সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে, ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে ফ্রিজের জল বা নরম পানীয় না খাওয়াই ভাল।
৪) শীতের শুরু থেকেই অনেকে গরম জলে স্নান করেন। চিকিৎসকেরা খুব শীত না পড়লে গরম জলে স্নান করতে নিষেধ করেন। রোজ গরম জলে স্নান করলে পেট গরম হয়ে আবার অন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫) শীতকাল এলেই ভাজাভুজি খেতে ইচ্ছা করে। তবে এই ধরনের খাবার বেশি খেলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তা ছাড়া প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সুষম খাবার খাওয়া জরুরি। ফল, সবুজ শাকসব্জি বেশি করে খেতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy