মাখন খেতে অনেকেই ভালবাসেন। প্রতীকী ছবি।
সকালে উঠতে দেরি হয়ে গিয়েছে। এ দিকে অফিসের জন্য তৈরি হওয়া, অন্য দিকে সন্তানের স্কুলের টিফিন। এমন তাড়াহুড়োর দিনে অনেকেরই ভরসা হয়ে দাঁড়ায় পাউরুটি। ফ্রিজে সারা বছরই মাখন রেখে দেন অনেকেই। পাউরুটি সেঁকে নিয়ে খানিকটা মাখন মাখিয়ে নিলেই দিব্যি টিফিন হয়ে যায়। মাখন খেতে অনেকেই ভালবাসেন। বিভিন্ন রান্নাতেও মাখন দেওয়ার চল রয়েছে। এতে রান্নার স্বাদ এবং গন্ধ দুই-ই বাড়ে। কিন্তু রোজ রোজ মাখন খাওয়ার অভ্যাস কি ভাল?
পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, বহু পুষ্টিগুণ থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত মাখন শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। এমনই বলছে হালের একটি গবেষণা। সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন গবেষক জানিয়েছেন, নিয়মিত মাখন খাওয়ার অভ্যাস একেবারেই ভাল নয়। মাখনে ফ্যাটের পরিমাণ অনেকখানি। মাখন হল স্যাচুরেটেড ফ্যাট। গবেষণা বলে, অতিরিক্ত পরিমাণ স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে প্রবেশ করলে তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। বাড়তে পারে এলডিএল-এর মাত্রা। এলডিএল হল খারাপ কোলেস্টেরল। এলডিএল-এর মাত্রা শরীরে যত বাড়বে, ততই বাড়বে হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের আশঙ্কা। ধমনির উপরে প্রধানত চাপ সৃষ্টি হয় খারাপ কোলেস্টেরল বাড়লে।
কতটা মাখন খাওয়া নিরাপদ?
গবেষকদের মতে, সপ্তাহে দু’-তিন দিন মাখন খাওয়া যেতে পারে। তা-ও প্রত্যেক দিন এক বা দু’চামচের বেশি নয়। এই পরিমাণ মাখন শক্তিতে রূপান্তরিত হয় এবং ওজন বাড়ায় না। কিন্তু মাখনের পরিমাণ এর চেয়ে বেড়ে গেলেই বিপদ। তা হলে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এমনকি নিয়মিত ভাজাভুজি, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত মাংস খেলে যে ক্ষতি হয়, বেশি মাখন খেলেও একই ধরনের ক্ষতি হয়— এমনই বলছেন গবেষকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy