রাতে ঘুমের অভাব বাড়িয়ে দিচ্ছে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। ছবি- সংগৃহীত
রাতে পাঁচ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমোলে ‘পেরিফেরাল আর্টারি ডিজ়িজ়’-এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৭৪ শতাংশ বেড়ে যায়। হালের গবেষণা তেমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গোটা বিশ্বে প্রায় ২০ কোটি মানুষ এই রোগের শিকার।
‘পেরিফেরাল আর্টারি ডিজ়িজ়’ বা পিএডি কী?
দেহের বিভিন্ন অঙ্গে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত ছড়িয়ে পড়ে ধমনীর মধ্য দিয়ে। কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে সেই ধমনীগুলির ভিতর স্নেহ পদার্থের আস্তরণ তৈরি হয়। ফলে রক্ত চলাচলের পথ রুদ্ধ হয়ে আসতে পারে। একে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘প্লাক’ তৈরি হওয়া। এই ধরনের প্লাক তৈরি হলে দেহের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত পৌঁছনোয় সমস্যা দেখা দেয়। দেহের প্রান্তিক অঙ্গগুলির ধমনীতে তৈরি হওয়া এই সমস্যাকেই বলে ‘পেরিফেরাল আর্টারি ডিজ়িজ়’ বা ‘পিএডি’। এই রোগে পায়ের একাধিক অংশে টান ধরার সমস্যা দেখা দিতে পারে। পায়ের পাতা, নিতম্ব, থাই ও ঊরুর পেশি সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় এই রোগে। হাঁটতে গেলে ব্যথা হতে পারে পায়ে। তা ছাড়া, পায়ের ত্বকের রং নীলচে হয়ে আসা, ক্ষত সারতে দেরি হওয়া কিংবা এক পায়ের পাতার উষ্ণতা অন্য পায়ের তুলনায় কম হওয়াও এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ।
পাশাপাশি, অন্য আরও একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রাতে যাঁরা অন্তত পক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোতে পারেন, তাঁদের মধ্যে পিএডি-তে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কম। সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট-এর গবেষক সুয়াই উয়ান বলেন, “শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। পিএডি-র মতো সমস্যা ঠেকিয়ে রাখতে জীবনধারার মান উন্নত করার পাশাপাশি শারীরির ভাবে সক্রিয় থাকাও জরুরি।”
ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নাল-এ প্রকাশিত তথ্য বলছে, রাতের বদলে দিনের বেলা ঘুমোলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক গুণে বেড়ে যেতে পারে। সাড়ে ৬ লক্ষেরও বেশি মানুষের উপর করা একটি সমীক্ষা শেষে তেমন ইঙ্গিতই মিলেছে। যদিও উয়ান জানিয়েছেন, ঘুমের সময় এবং দিনের বা রাতের ঘুমের সঙ্গে এই পেরিফেরাল আর্টারি ডিজ়িজ়ের যোগ কতটা, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে গেলে আরও গবেষণার প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy