শীতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে কোন ৩ কারণে? ছবি: সংগৃহীত।
শীতে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। বিভিন্ন গবেষণায় এমনটাই প্রমাণিত হয়েছে। হৃদ্রোগের নির্দিষ্ট কোনও মরসুম নেই, এ কথা ঠিক। তবে, হার্টের সমস্যা থাকলে শীতে বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করার কথা বলেন চিকিৎসকেরা। শীতে শরীরে অক্সিজেনের প্রয়োজন বেড়ে যায়। তাই এই সময়ে রক্তনালি সরু হয়ে যায়। ফলে হৃদ্যন্ত্রে কম পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছয়। এতেই হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায়। হার্ট অ্যাটাক অনেক সময়ে নিঃশব্দেও আসে। তবে গোটা শীতকাল জুড়েই নানা উৎসব লেগে থাকে। ফলে উৎসবের আবহে শরীরের উপরে অজান্তেই অবহেলা হয়ে যায়। উৎসব শেষ হতেই তাই এই ধরনের রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। কিন্তু, কেন এমন হয়?
খাওয়াদাওয়ায় বদল
উৎসব মানেই ভূরিভোজ। একঘেয়ে খাবার থেকে বেরিয়ে একটু অন্য খাবারের স্বাদ নেওয়া। উৎসবের আমেজে বাহারি খাবার খেতে ভাল লাগলেও আসলে তা শরীরের অন্দরে নানা সমস্যা তৈরি করে। প্রক্রিয়াজাত খাবারে ক্যালোরি, ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি। এর ফলে কোলেস্টেরল, রক্তচাপ বাড়ে। সেখান থেকেই হার্ট অ্যাটাক, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি তৈরি হয়।
মদ্যপান করা
উৎসবের আবহে টুকটাক মদ্যপান চলতেই থাকে। বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি হোক কিংবা ঘরোয়া কোনও উৎসব— সুরাপাত্রে চুমুক না দিলে ঠিক যেন উদ্যাপন হয় না। তবে হার্টের কোনও সমস্যা থাকলে বেলাগাম মদ্যপান করা ঠিক নয়। কিন্তু উৎসবের আমেজে অনেকেই সেই নিয়ম মানেন না। বিপদ বাড়ে সেখানেই। মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন হার্টের রোগীদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
শরীরচর্চা না করা
একে উৎসব, তার উপর শরীরচর্চায় ঢিলেমি। শরীরচর্চা না করার অভ্যাস হার্টের রোগীদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু চারদিকে উৎসবের আমেজে শীতকালে আর শরীচর্চায় মন বসে না। তা ছাড়া উদ্যাপনেরও একটা ক্লান্তি থাকে। সব কিছু মিলিয়েই ঝুঁকি বাড়ে হৃদ্রোগের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy