কুঁচকির ঘা প্রতিরোধের উপায় ছবি: শাটরস্টক।
দাঁদ ও চুলকানি শরীরের যে কোনও অঙ্গেই হতে পারে। তবে যাঁরা নিয়মিত খেলাধুলা করেন বা শ্রমসাধ্য কাজকর্ম করেন, তাঁদের অনেকের ক্ষেত্রেই যৌনাঙ্গ কিংবা কুঁচকির আশপাশে এই ধরনের ঘা দেখতে পাওয়া যায়। প্রাথমিক ভাবে সাধারণত লাল ক্ষত বা র্যাশ থেকে সমস্যার সূত্রপাত হয়। ধীরে ধীরে তা ক্রমাগত বৃত্ত বা অর্ধবৃত্তের মতো ছড়িয়ে পড়তে থাকে। গোপনাঙ্গ সংলগ্ন অঞ্চলে এই রোগের জন্য দায়ী টিনিয়া ক্রুরিস নামক এক প্রকার ছত্রাক। সাধারণত অন্তর্বাস কিংবা তোয়ালের ব্যবহারের ভুলেই ছড়ায় এই রোগ। কোন উপায়ে মোকাবিলা করবেন এই জীবাণুর?
১। শুষ্কতা: আর্দ্র ও স্যাঁতস্যাঁতে অঞ্চল এই জীবাণুর আদর্শ আবাস স্থল। কাজেই কুঁচকির এলাকা যতটা সম্ভব শুকনো রাখতে হবে। স্নান বা ব্যায়াম করার পর একটি পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে যৌনাঙ্গ এবং উরুর ভিতরের দিক ভাল ভাবে শুকিয়ে নেওয়া দরকার। পায়ের আঙুলের দাঁদ তোয়ালের মাধ্যমে দ্রুত কুঁচকিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে, তাই সব সময়ই আগে গোপনাঙ্গ মোছার পর সব শেষে মুছতে হবে পায়ের পাতা।
২। পরিচ্ছন্ন পোশাক: জীবাণু তাড়াতে চাইলে অপরিষ্কার জামাকাপড় পরা চলবে না একেবারেই। বিশেষত, অন্তর্বাস পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যাঁরা প্রচুর ঘামেন তাঁদের দিনে একাধিক বার অন্তর্বাস পরিবর্তন করা বাঞ্চনীয়। কৃত্রিম তন্তুর তৈরি অন্তর্বাস উপেক্ষা করাই ভাল। সুতির অন্তর্বাস বায়ু চলাচল ও আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে অনেক বেশি উপযোগী।
৩। সঠিক মাপের অন্তর্বাস: পাজামা, অন্তর্বাস কিংবা ক্রীড়া ইউনিফর্ম সঠিক মাপের হওয়া আবশ্যক। অতিরিক্ত আঁটোসাঁটো পোশাক এড়িয়ে চলুন। এই ধরনের পোশাকের সঙ্গে ত্বকের অতিরিক্ত ঘর্ষণের ফলে যে ক্ষত তৈরি হয় তাতে বাড়ে সংক্রমণের ঝুঁকি। পুরুষরা ব্রিফের পরিবর্তে বক্সার জাতীয় অন্তর্বাস পরার চেষ্টা করতে পারেন।
৪। ব্যক্তিগত জিনিস: ব্যক্তিগত প্রসাধনী কিংবা পোশাক অন্যদের ব্যবহার করতে না দেওয়াই ভাল। পাশাপাশি অন্যের পোশাক, তোয়ালে, মোজা, এমনকি জুতোর মাধ্যমেও এই জীবাণুর ছড়িয়ে পড়া সম্ভব। আর্দ্র, স্যাঁতস্যাঁতে কিংবা বহু মানুষের যাতায়াত আছে, এমন স্থানে যাওয়ার সময় পা ঢাকা জুতো পরা আবশ্যিক। পা থেকেও অতি দ্রুত এই সংক্রমণ কুঁচকিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সাধারণত এই সংক্রমণ সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে খুব সহজেই নিরাময় করা সম্ভব। কিন্তু মনে রাখতে হবে কেবল একটি রোগের ক্ষেত্রেই এই ধরনের উপসর্গের সৃষ্টি হয় না। বিভিন্ন ধরনের কঠিন যৌন রোগেও একই রকমের উপসর্গ দেখা যায়। কাজেই এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy