Advertisement
২৬ মে ২০২৪
Diabetic Ketoacidosis

ডায়াবিটিস আছে কি না, বুঝতে চান? চিনিয়ে দিতে পারে আপনার গায়ের গন্ধ!

গায়ের গন্ধ কিন্তু বলে দিতে পারে আপনার পাশে বসা ব্যক্তিটি ডায়াবিটিসে আক্রান্ত কি না। কারণ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে কিটোঅ্যাসিডোসিসের প্রাধান্য বেশি থাকে।

গায়ের গন্ধ কিন্তু বলে দিতে পারে আপনার পাশে বসা ব্যক্তিটি ডায়াবিটিসে আক্রান্ত কি না।

গায়ের গন্ধ কিন্তু বলে দিতে পারে আপনার পাশে বসা ব্যক্তিটি ডায়াবিটিসে আক্রান্ত কি না। ছবি- প্রতীকী

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:২৫
Share: Save:

ডায়াবিটিস এমন একটি রোগ, যা নিঃশব্দে শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে। নিয়ম মেনে খাবার, ওষুধ খেলে, শরীরচর্চা করলে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে বটে। কিন্তু তা কোনও ভাবেই পুরোপুরি নিরাময় হয় না। প্রাথমিক ভাবে পিপাসা বেড়ে যাওয়া, ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ, বার বার খিদে পাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুমের পরেও ক্লান্ত বোধ করা, ওজন কমে যাওয়া, ত্বকে কালচে ভাব, ক্ষত না শুকোনোর মতো লক্ষণগুলিকে ডায়াবিটিসের কারণ বলে ধরা যেতে পারে। এ ছাড়াও গায়ের গন্ধ কিন্তু বলে দিতে পারে আপনার পাশে বসা ব্যক্তিটি ডায়াবিটিসে আক্রান্ত কি না। কারণ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে কিটোন অ্যাসিডের প্রাধান্য বেশি থাকে।

এখন প্রশ্ন হল ‘কিটোন অ্যাসিড’ কী?

শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন না থাকায় রক্তে থাকা শর্করা, শক্তি উৎপাদন করতে পারে না। শক্তি উৎপাদনের জন্য যকৃৎ ক্রমাগত স্নেহ জাতীয় পদার্থ ভাঙতে চেষ্টা করে। ফলস্বরূপ কিটোন নামক অ্যাসিড তৈরি হয়। রক্ত এবং প্রস্রাবেও বিপজ্জনক হারে বাড়তে থাকে এই অ্যাসিডের মাত্রা। রক্তে পিএইচের ভারসাম্যও বিঘ্নিত হয়।

শরীরে কিটোন অ্যাসিড অত্যধিক হারে বেড়ে গেলে, তা সাধারণত শ্বাস-প্রশ্বাস, ঘাম এবং প্রসাবের গন্ধের মাধ্যমে জানান দেয়। কখনও ফলের, ঝাঁঝাল অ্যামোনিয়া বা মলের গন্ধ পাওয়াও অস্বাভাবিক নয়।

কারা কিটোঅ্যাসিডোসিসএ আক্রান্ত হতে পারেন?

সাধারণত টাইপ১ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা দীর্ঘ দিন গুরুতর অসুস্থ থাকলে, অস্ত্রোপচার হলে বা নিয়মিত ইনসুলিন না নিলে কিটোঅ্যাসিডোসিস হতে পারে।

টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কিটোঅ্যাসিডোসিস হয় না বললেই চলে। তবে, দীর্ঘ দিন ধরে রক্তে অনিয়ন্ত্রিত শর্করার মাত্রা কিটোঅ্যাসিডোসিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

কিন্তু যাঁদের ডায়াবিটিস নেই, তাঁদেরও কিটোঅ্যাসিডোসিস হতে পারে। দীর্ঘ ক্ষণ না খেয়ে থাকলে শরীরে গ্লুকোজের অভাব দেখা দেয়। শক্তি উৎপাদনের জন্য শরীর বাধ্য হয়ে কিটোজেনেসিস প্রক্রিয়া শুরু করে।

একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, খাবারের তালিকায় সুষম এবং পরিমিত কার্বহাইড্রেড সমৃদ্ধ খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে। কিটোঅ্যাসিডোসিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Diabetes Type 1 Diabetes Type 2 Diabetes
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE