প্রস্রাবের রং বা প্রকৃতির প্রতি খেয়াল রাখলে কিডনির নানা সমস্যা, ডায়াবিটিস— এ সব অসুখের শুরুতেই সতর্ক হওয়া যায়। ছবি: শাটারস্টক
শীতের সময় জল খাওয়ার পরিমাণ অনেকেই কমিয়ে দেন। কেউ জেনেবুঝে কেউ আবার অজান্তে। ফলস্বরূপ, শরীরে বাসা বাঁধে হাজারটা রোগ। কঠিন অসুখগুলির ক্ষেত্রে চিকিৎসা যত তাড়াতাড়ি শুরু হয়, ততই রোগীর সেরে ওঠার সম্ভাবনা বাড়ে। অথচ কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের ভুলেই অসুখের মাত্রা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। রোজ কিছু বিষয় খতিয়ে নজর করলেই কিন্তু প্রথম অবস্থাতেই সতর্ক হওয়া যায় । যেমন, প্রস্রাবের রং বা প্রকৃতির প্রতি খেয়াল রাখলে কিডনির নানা সমস্যা, ডায়াবিটিস— এ সব অসুখের শুরুতেই সতর্ক হওয়া যায়।
প্রস্রাবের গন্ধ শুঁকে কী করে বুঝবেন শারীরিক সমস্যার লক্ষণ?
১) ডিহাইড্রেশন বা শরীরে জলের ঘাটতি হলে মূত্রে অ্যামোনিয়ার মতো গন্ধ তৈরি করতে পারে।
২) প্রস্রাবের গন্ধ মিষ্টি ফলের মতো হলে তা টাইপ-২ ডায়াবিটিসের লক্ষণ হতে পারে।
৩) বিকট দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব শরীরে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণের ইঙ্গিত দিতে পারে, তাই সতর্ক থাকুন।
প্রস্রাবের রং দেখে কী করে বুঝবেন শারীরিক সমস্যার লক্ষণ?
১) গাঢ় হলুদ রঙের প্রস্রাব শরীরের জলের ঘাটতি বা ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ হতে পারে। রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলেও এমনটা হয়ে থাকে।
২) হালকা কমলা রঙের প্রস্রাব লিভারের কোনও সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।
৩) হালকা নীলচে বা সবুজ রঙের মূত্র শরীরে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ নির্দেশ করে।
৪) গাঢ় বাদামি রঙের প্রস্রাব হলে সতর্ক হন, এটি কিডনি ও লিভারের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
৫) একেবারে সাদা রঙের প্রস্রাব হলে তা শরীরে ক্যালশিয়াম ও ফসফেট বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ হতে পারে। এটি হতে পারে মূত্রনালি সংক্রমণ বা (ইউটিআই)-এর লক্ষণ।
প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বেরোলে একেবারেই দেরি করবেন না। শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে গেলেও এমন রক্তপাত হয়। কাজেই সাবধান থাকুন প্রথম থেকেই। এ ছাড়াও মূত্রথলি বড় হয়ে গেলে, কিডনিতে সংক্রমণ হলে বা পাথর জমলে কিংবা ক্যানসার হলেও প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বেরোতে পারে।
প্রস্রাব অস্বচ্ছ? বিয়ারের মতো ফেনা ভাসছে উপরে? শরীরের প্রয়োজন বুঝে জল খান। তাতেও এই সমস্যা না মিটলে বুঝবেন কিডনির কোনও সমস্যার উপসর্গ এটি। যৌনরোগের লক্ষণ হতে পারে ঘোলাটে প্রস্রাব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy