অনেকেই এক বার ঘুম ভেঙে গেলে আর কিছুতেই দু’চোখের পাতা এক করতে পারেন না। ছবি: সংগৃহীত।
রাতে ঘুমের মাঝে এমনিতে ওঠেন না। কিন্তু এক বার প্রস্রাব করতে উঠলে আর ঘুম আসতে চায় না। ঠায় ঘরের ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় বেশ কিছু ক্ষণ। এই সমস্যায় এক বারও পড়েননি এমন মানুষ বোধ হয় কমই আছেন। কিন্তু এমনটা হওয়ার কারণ কী?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কোনও ব্যক্তি ব্যাঘাত ছাড়াই এক টানা ৯০ মিনিট পর্যন্ত ঘুমোতে পারেন। কিন্তু সেই ঘুমেরও বিভিন্ন স্তর আছে। এই ৯০ মিনিটের চক্রের মধ্যেই ঘুম কখনও গভীর, আবার কখনও বা হালকা হতে পারে। হালকা ঘুমের মধ্যে হঠাৎ প্রস্রাবের বেগ এলে ঘুম ভেঙে যেতে পারে। এক বার ঘুম ভেঙে গেলে আর কিছুতেই দু’চোখের পাতা এক করতে পারেন না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কী করবেন?
ঘুম ভাঙার পর আবার চোখে ঘুম আনতে কী কী করবেন?
১) ঘুমোতে যাওয়ার আগে বেশি জল খাবেন না
সারা দিন জল খাওয়া হয় না বলে, বাড়ি ফিরে বেশ অনেকটাই জল খেয়ে ফেলেছেন। তার ফলে গোটা রাত জুড়ে যা হওয়ার তাই হয়েছে। বার বার প্রস্রাবের বেগ এবং তার জেরে ঘুমের বারোটা। তাই শুতে যাওয়ার আগে জল বেশি না খাওয়াই ভাল।
২) ঘড়ির দিকে তাকিয়ে থাকবেন না
ঘুম ভাঙলেই ঘড়ি দেখার অভ্যাস অনেকের। চিকিৎসকদের মতে, রাতে ঘুম ভেঙে ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকালে মনে অজানা এক আতঙ্ক বা উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। যদি সময় দেখতেই হয়, সে ক্ষেত্রে ফোনের ঘ়ড়ি দেখুন।
৩) শোয়ার আগে মদ্যপান করবেন না
বিছানায় যাওয়ার আগে অল্প একটু সুরাপানের অভ্যাস? এই অভ্যাসই কিন্তু ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। ঘুম আনতে সাহায্য করে ট্রিপটোফ্যান নামক এক যৌগ। তার ক্ষরণ আটকে দিতে পারে মদ। ফলে ঘুম আসতে সমস্যা হয়।
৪) পোষ্যকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন
ঘুমের সময় পোষ্যকে কাছে নিয়ে শুতে ভালবাসেন অনেকে। কিন্তু বিছানায় লেগে থাকা পোষ্যের লোম যদি নাকে-মুখে ঢুকে যায় তা হলে অ্যালার্জির আশঙ্কা এড়িয়ে যাওয়া যায় না। ক্রমাগত হাঁচি, কাশি থেকেও ঘুম নষ্ট হতে পারে।
৫) মন শান্ত রাখার চেষ্টা করুন
ঘুমোতে যাওয়ার আগে এমন কোনও ছবি, সিনেমা বা গল্প দেখবেন না বা পড়বেন না, যা থেকে উত্তেজিত হয়ে পড়তে পারেন। বদলে নিশ্চিন্ত ঘুমের জন্য কিছু ক্ষণ ধ্যান করতে পারেন। হালকা কোনও যন্ত্রসংগীত শুনতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy