Advertisement
১৬ মে ২০২৪
Yoga To Beat Snoring

নাক ডাকার জন্য রোজ স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হচ্ছে? ৩টি আসন নিয়মিত করলেই হতে পারে মুশকিল আসান

রোজ নিয়ম করে কয়েকটি আসন করলে নাক ডাকার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন। জেনে নিন যোগের তালিকায় কী কী রাখবেন?

কোন আসনের গুণে কমবে নাক ডাকার সমস্যা?

কোন আসনের গুণে কমবে নাক ডাকার সমস্যা? ছবি: শাটারস্টক।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:২১
Share: Save:

অনেকেই নাক ডাকেন, অবশ্য যাঁর এই সমস্যা রয়েছে, তিনি বিশেষ টের পান না। সেই ডাক যাঁরা শোনেন, তাঁরাই বেশি বিরক্ত হন। অনেকেই এই নাক ডাকার সমস্যাকে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখেন না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নাক ডাকা কোনও ক্ষেত্রে জটিল রোগের ইঙ্গিত হতে পারে। কিংবা আগে থেকে কোনও রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে, আরও জটিল হতে পারে পরিস্থিতি।

নাকের ভিতর শ্বাস চলাচলে বাধা পেলে কিংবা গলার পিছন দিকে আলজিভের দিকের টিস্যু কোনও কারণে অত্যধিক ঢিলে হয়ে গেলে, এমন আওয়াজ বেরোতে পারে। তবে যে কারণেই হোক, এই সমস্যার সমাধান করা জরুরি। রোজ নিয়ম করে কয়েকটি আসন করলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন। জেনে নিন যোগের তালিকায় কী কী রাখবেন?

ভুজঙ্গাসন

মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু মেঝের উপর ভর দিয়ে পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। এর পর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিতে তুলুন। এর পর মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান। প্রথম দিকে এই আসন তিন বার করুন। পরবর্তী কালে ৫-৬ বারও করতে পারেন।

নাক ডাকা কোনও ক্ষেত্রে জটিল রোগের ইঙ্গিত হতে পারে।

নাক ডাকা কোনও ক্ষেত্রে জটিল রোগের ইঙ্গিত হতে পারে।

ধনুরাসন

পেট উপুড় করে শুয়ে পড়ুন। তার পর হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা যতখানি সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসুন। এ বার হাত দুটো পিছনে নিয়ে গিয়ে গোড়ালির উপর শক্ত করে চেপে ধরুন। চেষ্টা করুন পা দুটো মাথার কাছাকাছি নিয়ে আসতে। এই ভঙ্গিতে মেঝে থেকে বুক হাঁটু ও ঊরু উঠে আসবে। তলপেট ও পেট মেঝেতে রেখে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন। তার পর পূর্বের ভঙ্গিতে ফিরে যান। এই আসন বার তিনেক করতে পারেন।

ভ্রামরী প্রাণায়াম

প্রাণায়ামটি করার সময়ে ভ্রমরের মতো গুঞ্জন হয়, তাই এই নামকরণ। দুই হাতের তর্জনী, দুই কানের উপর রাখুন। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে একটি গভীর শ্বাস ভিতরে টানুন। এ বার মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে নিশ্বাস ছাড়ার সময়ে গলা দিয়ে নিচু স্বরে একটি ‘হুম’ আওয়াজ করুন। এই প্রাণায়াম রোজ করতে পারলে মানসিক চাপ কমে, দূর হয় ক্লান্তি। স্নায়ুকে শান্ত করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Snoring
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE