স্থায়ী সময়ের জন্য চিকিৎসক নিয়োগের দাবিতে মঙ্গলবার বুদবুদের দেবশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাতকুন্ডা উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে এক সপ্তাহেরও বেশি কোনও চিকিৎসক ছিলেন না। একমাত্র নার্সও বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন। মঙ্গলবার এক চিকিৎসক ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসেন। তাঁকে দেখে গ্রামবাসীরা ভেবেছিলেন এ বার সমস্যা মিটল। কিন্তু পরে জানা যায়, ওই চিকিৎসক আপাতত সপ্তাহে দু’দিন ওই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসবেন। এই কথা জানার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্থায়ী চিকিৎসক নিয়োগ করতে হবে।
যদিও উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে নতুন চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন আউশগ্রাম ২ ব্লকের বিডিও দিপ্তীময় দাস। তিনি বলেন, “ওই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নতুন করে চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এ দিনের বিক্ষোভের খবরও আমার কাছে নেই।” তবে বলে জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই এখানে স্থায়ী চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা শেখ সেলিমের অভিযোগ, “উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যে পরিমাণ রোগীর চাপ রয়েছে তাতে সপ্তাহে ছ’দিন চিকিৎসক থাকতেই হবে। এ দিন যে চিকিৎসক এসেছিলেন তিনি সপ্তাহে দু’দিন আসবেন বলে জানিয়েছেন। তাই আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছি।” স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ হোসেনের দাবি, তাঁদের গ্রামে মূলত দরিদ্র পরিবারের বাস। তাঁদের পক্ষে গ্রামের বাইরে চিকিৎসা করাতে যাওয়া যথেষ্ট ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার। অনেকে হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই গ্রামের উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পূর্ণ সময়ের চিকিৎসকের দাবি জানানো হয়েছে। উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য এখানে প্রতি দিনই গড়ে ১২০ থেকে ১৩০ জন রোগী আসতেন। গত ২০ অক্টোবর মহকুমা স্বাস্থ্য দফতর থেকে চিকিৎসক বদলের নির্দেশিকা আসে। নির্দেশ মত চিকিৎসক অন্যত্র বদলি হয়ে যান। ফলে গত এক সপ্তাহ ধরে অচলাবস্থা চলছে এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। অথচ স্থানীয় পঞ্চায়েত এলাকা ছাড়াও গেঁড়াই, বিষ্টুপুর, মৌকটা প্রভৃতি আশপাশের গ্রাম থেকে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ এর উপর নির্ভরশীল রয়েছেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু জানান, আপাতত পরিস্থিতি সামাল দিতে এক জন চিকিৎসককে ওখানে পাঠানো হয়েছে। এক সপ্তাহের ভিতর স্থায়ী চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy