ওষুধ নিতে এসে রোগীরা দেখেন হাসপাতালের মূল গেটে তালা ঝুলছে। নার্স বা চিকিৎসক কেউ নেই। দুপুর ১টা নাগাদ চিকিৎসক আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগী ও এলাকার বাসিন্দার। হাসপাতালেও ভাঙচুর চানানো হয়। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাট ১ ব্লকের বৈধরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
চিকিৎসক মহম্মদ শহিদ আতিকের দাবি, “এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ হাসপাতালে এসেছিলাম। কিন্তু শরীর খারাপ থাকায় আমি এক নার্সকে হাসপাতালে আসার জন্য বলি। কিন্তু ছুটিতে আছেন বলে ওই নার্স আমাকে জানান। এর পরে আমি অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিযুক্ত স্থানীয় দুই বাসিন্দাকে হাসপাতালের কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়। পরে জানতে পারি কয়েকজন বাসিন্দা হাসপাতালের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। আমি এলাকায় পৌঁছতেই কিছু বাসিন্দা আমাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান।” বিক্ষোভকারী অর্জুন হাঁসদা, নিতাই রায় বলেন, “এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক, নার্সরা এ দিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ছিলেন না। র ফলে বৈধরা, কার্তিকডাঙা, তুরুকদিঘি-সহ এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা পরিষেবা না পেয়ে বাড়ি চলে যান।” নিতাই দাসের অভিযোগ, “প্রায় দিনই চিকিৎসক ও নার্সদের কাউকে হাসপাতালে পাওয়া যায় না। চিকিৎসককে সে কথা বলতে গেলে কয়েকজন আমাদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু করে দেয়।”
দু’জন নার্স ছাড়া চতুর্থ শ্রেণির কর্মী, ঝাড়ুদার, ফার্মাসিস্ট নেই। দু’জন নার্স ছুটিতে। একমাত্র চিকিৎসক মহম্মদ শহিদ আতিক বলেন, “গত ৬ ও ৭ এপ্রিল পরপর দু’দিন হাসপাতালের আউটডোর এবং সাবসেন্টার ঘরের তালা ভেঙে চুরির চেষ্টা হয়। হাসপাতালের সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য নৈশপ্রহরী দরকার। হাসপাতালে জলেরও ব্যবস্থা নেই। হাসপাতাল চত্বরে চিকিৎসক, নার্স এবং অন্য কর্মীদের থাকার জন্য যে থাকার ঘর আছে, তা ব্যবহারের অনুপযুক্ত। এ কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার বলা হয়েছে।” অন্য দিকে, তুরুকদিঘির মহম্মদ আবুল শেখ, সাবির আলিদের অভিযোগ, “এলাকার কিছু বাসিন্দাদের অসাধু উদ্দেশ্যের জন্য এখানে চিকিৎসকেরা তাঁদের ইচ্ছে থাকলেও ঠিক মতো ডিউটি দিতে পারেন না। ওই সমস্ত লোকেরা চিকিৎসক ও নার্সদের নানা রকম চাপ দেয়। এর জন্য এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোনও উন্নতি হয় না।” বিএমওএইচ সুমন্ত্র মণ্ডল বলেন, “বৈধরা হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্সরা নিয়মিত ডিউটি যে করেন না, তা লিখিত ভাবে আমার কাছে কেউ জানাননি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনব।”
ফের মৃত্যু নবজাতের
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে সিক নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিটে বৃহস্পতিবার এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সদ্যোজাতের ওজন ছিল ১২০০ গ্রাম। চিকিৎসকরা জানান, মায়েদের অপুষ্টির জন্য মাত্রাতিরিক্ত কম ওজনের শিশুর জন্ম হয়। ফুসফুস থেকে হৃদপিণ্ড, শরীরের অন্য অঙ্গগুলি ঠিক মতো কর্মক্ষম থাকে না। সে কারণেই অনেক ক্ষেত্রে ওই শিশুদের বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান এসএনসিইউ চিকিৎসক। শিশু বিভাগ প্রধান মৃদুলা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দুটি নতুন সি-প্যাপ যন্ত্র এ দিন থেকে ব্যবহারের বন্দোবস্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কোম্পানি থেকে লোকেরা এসেছেন। কয়েক দিনের মধ্যেই তা ব্যবহার করা সম্ভব হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy