টিকাকরণের নতুন প্রকল্প ‘মিশন ইন্দ্রধনুষ’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল পশ্চিম মেদিনীপুরে। বৃহস্পতিবার খড়্গপুরের জিনশহরের একটি ইটভাটায় সাত জনকে টিকা দিয়ে প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়।
যে সব শিশু ও অন্তঃসত্ত্বারা নানা কারণে টিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় আসতে পারেননি, তাঁদের জন্যই কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্প। চলতি মাস থেকে আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত প্রকল্প চলবে। এ জন্য জেলার ২১টি ব্লক ও ৩টি পুরসভায় মোট ৯০টি কেন্দ্র খোলা হয়েছে। জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গি বলেন, ‘‘মূলত বস্তি, ইটভাটা-সহ কিছু এলাকার মানুষ, যাঁরা নানা সময়ে ভবঘুরের মতো জীবন কাটান, তাঁদের মধ্যেই কয়েকজন টিকাকরণ কর্মসূচির আওতার বাইরে ছিলেন। আমরা তাঁদের চিহ্নিত করেছি। এই অভিযানে সকলকেই টিকা দেওয়া হবে।’’
যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, ধনুষ্টঙ্কার, পোলিও, হেপাটাইটিস— এই সাতটি রোগ থেকে বাঁচতেই সদ্যোজাত থেকে দু’বছর বয়স পর্যন্ত শিশু ও অন্তঃসত্ত্বাদের টিকা দেওয়া হয়। বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, টিকাকরণ কর্মসূচিতে একশো শতাংশ সাফল্য মেলেনি। পশ্চিম মেদিনীপুরের ২৯টি ব্লক ও ৮টি পুরসভার মধ্যে ২১টি ব্লক ও ৩টি পুরসভাতে প্রায় ৬৫০ জন শিশু এবং ৮৩ জন মা টিকাকরণ কর্মসূচির আওতার বাইরে থেকে গিয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা ওঁদের বাড়িতে যাবেন। পৌঁছে দেবেন একটি কার্ড। কোন দিন কোথায় গিয়ে টিকা নিতে হবে তাও জানিয়ে দেবেন। সেই মতো শিবির করে টিকা দেওয়া হবে। শিবিরে কেউ অনুপস্থিত হলে পরে তাঁর বাড়িতে গিয়ে টিকা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরাঞ্চলের বস্তি এলাকা, নির্মীয়মাণ বহুতল আর গ্রামের ইটভাটায় অনেকে টিকাকরণের আওতার বাইরে থেকে গিয়েছেন। তাই এই দু’টি অঞ্চলে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy