Advertisement
১১ মে ২০২৪

প্যাথোলজিস্ট পদ খালি ছ’মাস, বিপাকে রোগীরা

বেশ কয়েক মাস ধরে ফাঁকা পড়ে রয়েছে হাসপাতালের প্যাথোলজিস্টের পদ। তার ফলে নানা নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে সমস্যায় পড়ছেন রোগীরা। রিপোর্ট ঠিক মতো হচ্ছে কি না, সে নিয়ে সন্দেহ থাকায় অনেকে বাইরে থেকে পরীক্ষা করাচ্ছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৫ ০২:৩১
Share: Save:

বেশ কয়েক মাস ধরে ফাঁকা পড়ে রয়েছে হাসপাতালের প্যাথোলজিস্টের পদ। তার ফলে নানা নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে সমস্যায় পড়ছেন রোগীরা। রিপোর্ট ঠিক মতো হচ্ছে কি না, সে নিয়ে সন্দেহ থাকায় অনেকে বাইরে থেকে পরীক্ষা করাচ্ছেন। তাতে পকেটের কড়ি খরচ হচ্ছে। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, প্যাথোলজিস্ট নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।

দুর্গাপুর মহকুমা ছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভূমের মতো আশপাশের নানা জেলার অনেকেই চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে আসেন। ফলে, হাসপাতালের উপরে রোগীর যথেষ্ট চাপ থাকে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি হাসপাতালে ছ’মাসের বেশি সময় ধরে প্যাথোলজিস্ট পদে কেউ নেই। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগের প্যাথোলজিস্ট মার্চে অবসর নিয়েছেন। তার পর থেকে ওই পদে আর কাউকে নিয়োগ করা হয়নি। হাসপাতালে রোগীদের নানা নমুনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রিপোর্ট তৈরির কাজ প্যাথোলজিস্টের। সেই পদে নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসক না থাকায় সে সব কাজ করছেন ওই বিভাগের কর্মীরাই। কিন্তু তাঁদের তৈরি রিপোর্ট নিশ্চিত করতে প্যাথোলজিস্টের পরিবর্তে একমাত্র হাসপাতালের সুপারের সই করার এক্তিয়ার রয়েছে। হাসপাতালে এখন অনেক সময় সই ছাড়াই রিপোর্ট দিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রোগী ও তাঁদের পরিজনদের একাংশের। প্যাথলজিস্ট না থাকায় অনেকেই বাইরে থেকে নমুনা পরীক্ষা করিয়ে আনছেন। তাঁদের দাবি, হাসপাতালে ওই সব নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট ঠিক হবে, তার নিশ্চয়তা নেই।

এখন শহরে জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। নানা উপসর্গ নিয়ে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। অনেকের রক্ত পরীক্ষা করতে হচ্ছে। কিন্তু রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট ঠিক হচ্ছে কি না, সে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন রোগীর বাড়ির লোকজন। রোগীদের পরিবারের একাংশের আরও অভিযোগ করেন, শনি ও রবিবার জরুরি বিভাগে কাউকে নিয়ে গেলে রক্ত বা অন্য নানা পরীক্ষা করাতে হচ্ছে বাইরে থেকে। তাঁদের দাবি, হাসপাতালের তরফে জানানো হচ্ছে, ওই দিনগুলি হাসপাতালে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোনও কর্মী থাকেন না। এই সব সমস্যা মেটাতে অবিলম্বে এই হাসপাতালে এক জন প্যাথোলজিস্ট নিয়োগের দাবি তুলেছেন তাঁরা।

হাসপাতালের সুপার দেবব্রত দাস অবশ্য জানান, প্যাথোলজিস্ট না থাকার জন্য কোনও পরীক্ষা বন্ধ নেই। সব ধরনের কাজই করা হচ্ছে। তাঁর আশ্বাস, প্যাথোলজিস্ট নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যদিও কবে সেই নিয়োগ হবে, তার উত্তর কোনও তরফেই মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE