ভাঙচুরের পরে হাসপাতাল। নিজস্ব চিত্র।
চিকিৎসকের গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে আত্মীয় পরিজনদের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুর ২টো নাগাদ পুরাতন মালদহের নারায়ণপুরে ওই ঘটনাকে ঘিরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন হাসপাতালে ভর্তি থাকা অন্য রোগীরাও। পরে পুলিশ গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।এখনও পর্যন্ত কোন তরফেই থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি। অভিযোগ পেলে পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ পুরাতন মালদহের নবাবগঞ্জের বলরামপুরের বাসিন্দা পারভেজ নওয়াজকে পেটের যন্ত্রণা নিয়ে নারায়ণপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে নবাবগঞ্জের একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা জাহাঙ্গির আলম চাষবাস করেন। ওই দিন রাতে ছেলেটির অ্যাপেনডিক্স অস্ত্রোপচার করা হয়। তা সফলও হয় বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। পরের দিন তাকে তরল জাতীয় খাবারও দেওয়া হয়। কিন্তু শুক্রবার ভোরের দিকে অসুস্থ হয়ে পড়ে পারভেজ। ওইদিনই ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ মৃত্যু হয় তার। এরপরেই ভুল চিকিৎসার অভিযোগে সরব হয় তার পরিবারের লোকজন। মৃত ছাত্রের বাবা জাহাঙ্গির আলম বলেন, ‘‘চিকিৎসকদের ভুলেই আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে।’’তবে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, মৃতদেহটি ময়নাতদন্ত করার জন্য রোগীর আত্মীয়দের বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা রাজি হননি। ওই দিন সকাল ন’টা নাগাদ দেহ নিয়ে চলে যান তাঁরা। অভিযোগ, এরপর দুপুর দু’টো নাগাদ প্রায় ৫০ জনের একটি দল আচমকা হাসপাতালে চড়াও হয়ে ভাঙচুর শুরু করে।
এর পর সিসিটিভির ফুটেজের সিডি ক্যাসেট গুলি নিয়ে চলে যায়। ওই নার্সিংহোমের কর্তা অজিত মৌলিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, অস্ত্রোপচার সফল হয়েছিল। চিকিৎসকের ভুলে হয়ে থাকলে কেন তারা ময়না তদন্ত করালেন না। ঘটনার পরিপেক্ষিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy