রোগীর শ্বাসনালিতে ব্রঙ্কোস্কোপ যন্ত্র ঢোকানো রয়েছে। তার মাথায় ছোট্ট ক্যামেরার পাশাপাশি একটি অতিক্ষুদ্র সুচের মতো ‘আল্ট্রাসনোগ্রাফি প্রোব’ লাগানো। শ্বাসনালির বাইরের কোনও গ্রন্থি, নোড বা টিউমারের থেকে ওই সুচ দিয়ে টিস্যু সংগ্রহ করা হয়। সেই টিস্যু বায়োপ্সি করে জানা যায়, ক্যানসার হয়েছে কি না। এই চিকিৎসা পদ্ধতির নাম ‘এন্ডো ব্রঙ্কিয়াল আল্ট্রাসাউন্ড।’
শুক্রবার ফর্টিস হাসপাতালে খিদিরপুরের বাসিন্দা ৬৭ বছরের মৃগেন্দ্রকুমার ঘোষের শ্বাসনালির গ্রন্থি থেকে এ ভাবেই টিস্যুর নমুনা সংগ্রহ করে বায়োপ্সি করলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইন্টারভেনশন্যাল পালমোনোলজিস্ট মহম্মদ মুনাভর এবং রাজা ধর। ভিডিও স্ক্রিনে এই অস্ত্রোপচার দেখলেন চিকিৎসক ও সাংবাদিকেরা। ২০১১ সালে স্তন ক্যানসার হয়েছিল মৃগেন্দ্রবাবুর। চিকিৎসার পরে তিনি সুস্থ হন। কিন্তু গত চার মাস টানা কাশিতে কষ্ট পাচ্ছিলেন। সেই জন্যই শ্বাসনালির ভিতরের টিস্যুর বায়োপ্সি করে ক্যানসার হয়েছে কি না, তা দেখতে চেয়েছিলেন চিকিৎসকেরা।
মহম্মদ মুনাভরের কথায়, ‘‘এই পদ্ধতিতে শ্বাসনালির বাইরের অংশ থেকেও টিস্যু সংগ্রহ করে বায়োপ্সি করা যায়। খরচ পড়ে ২৫ হাজার টাকার মতো। জ্ঞান ফেরার ২-৩ ঘণ্টার মধ্যেই রোগী বাড়ি ফিরতে পারেন। এতে শরীরে কোনও কাটাছেঁড়ার দরকার পড়ে না।’’ এ দিন বড়বাজার বাঁশতলার বাসিন্দা, পঁয়চাল্লিশ বছরের কমল সোনকারের দেহে ‘থোরাকোস্কপি’ করেন ইন্টারভেনশনাল পালমোনোলজিস্টরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy