Advertisement
০৪ মে ২০২৪

সরকারি অনুমোদন ছাড়াই শহরে রমরমিয়ে চলছে ওষুধের দোকান

ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই শিলিগুড়ি সহ জেলায় বেশ কয়েকটি ওষুধের দোকান চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া গ্রামাঞ্চলে নজরদারির ফাঁক এড়িয়ে ওই বেআইনি ওষুধের ব্যবসার রমরমা বলে অভিযোগ। বহু দোকানে ফার্মাসিস্ট এর লাইসেন্স নেই বলেও অভিযোগ উঠেছে। ফলে বিপজ্জনকভাবে মানুষ না জেনেই এই সব দোকান থেকে ওষুধ কিনছে।

সংগ্রাম সিংহ রায়
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৫৮
Share: Save:

ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই শিলিগুড়ি সহ জেলায় বেশ কয়েকটি ওষুধের দোকান চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া গ্রামাঞ্চলে নজরদারির ফাঁক এড়িয়ে ওই বেআইনি ওষুধের ব্যবসার রমরমা বলে অভিযোগ। বহু দোকানে ফার্মাসিস্ট এর লাইসেন্স নেই বলেও অভিযোগ উঠেছে। ফলে বিপজ্জনকভাবে মানুষ না জেনেই এই সব দোকান থেকে ওষুধ কিনছে। ফলে যে কোনও সময় কোনও বিপদ ঘটতে পারে বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকেই। তবে এ বিষয়ে ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাওয়া হয়নি। বৃহত্তর শিলিগুড়ি নাগরিক মঞ্চ এ নিয়ে ভবিষ্যতে আন্দোলনে নামতে পারেন বলে জানিয়েছেন। তবে এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

বৃহত্তর শিলিগুড়ির অম্বিকানগর, নিউ জলপাইগুড়ি, সাউথ কলোনি, সাহুডাঙ্গি, ইস্টার্ন বাইপাস, আশিঘর মোড়, চম্পাসারি, শালুগাড়া, মাটিগাড়া, বাগডোগরা, ফাঁসিদেওয়া, খড়িবাড়ি, শুশ্রুতনগর সহ একাধিক এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকানের যথাযথ লাইসেন্স নেই বলে অভিযোগ পৌঁছৈছে সরকারের কাছে। দোকানের অধিকাংশের ড্রাগ লাইসেন্স নেই। যাঁরা ড্রাগ লাইসেন্স নিয়েছেন, ফার্মাসিস্ট চলে যাওয়ার পর আর চুক্তি নবীকরণ করেননি। নতুন ফার্মাসিস্টও নিয়োগ করেননি। এভাবেই বছরের পর বছর চলছে।

অভিযোগ রয়েছে ফার্মাসিস্টদের একাংশের বিরুদ্ধেও। আইন অনুযায়ী একজন ফার্মাসিস্ট একটির বেশি দোকানের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না। কিন্তু তা সত্ত্বেও কীভাবে ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরের নজর এড়িয়ে তাঁরা একাধিক দোকানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বৃহত্তর শিলিগুড়ি নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক রতন বণিক। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে ফার্মাসিস্ট ও ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া দোকান চালানোর একাধিক অভিযোগ এসেছে। এ নিয়ে আমরা মঞ্চের বৈঠকে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেব। ভবিষ্যতে আমাদের আন্দোলনের কর্মসূচিতে এই বিষয়টিকেও জায়গা দেওয়া যায় কিনা তাও বিবেচনা করা হবে।”

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ড্রাগ কন্ট্রোল দফতরের উত্তরবঙ্গের বিভাগীয় ডেপুটি কন্ট্রোলার নীতিশ দাস কুণ্ডু কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের শিলিগুড়ির সম্পাদক বিজয় গুপ্ত অবশ্য বৈধ দোকানে ফার্মাসিস্ট না থাকার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “ফার্মাসিস্ট লাইসেন্স না থাকলে ড্রাগ লাইসেন্স নবিকরণ করা হয় না। ফলে ফার্মাসিস্ট লাইসেন্স ছাড়া কোনও দোকান চালানো সম্ভব নয়।” তবে কোনও লাইসেন্সই নেই এমন দোকানের কথা তাঁর জানা নেই বলে জানান। উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়ী সংগঠন ফোসিনের সম্পাদক বিশ্বজিত দাস লাইসেন্স ছাড়া দোকানগুলির প্রতি কড়া মনোভাব নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। তিনি বলেন, “যাঁদের লাইসেন্স নেই, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এতে বৈধ দোকানগুলির ব্যবসা মার খাচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE