আমাদের সবার জন্মকুণ্ডলীতে ১২টি রাশি বা ভাব বা ঘর থাকে। সেই সঙ্গে থাকে ৯টি গ্রহ। এই ৯টি গ্রহকে যদি আমরা পরপর প্রতিটি রাশিতে একটি করে গ্রহ দিয়ে সাজাই, তবে ৩টি ঘর সব সময় ফাঁকা থেকে যায়।
আবার, অনেকের জন্মকুণ্ডলীতে একটি ঘরে দু’টি বা তিনটি বা চারটি বা তারও বেশি গ্রহ এক সঙ্গে অবস্থান করে। সে ক্ষেত্রে ওই সব জন্মকুণ্ডলীতে তাদের ৪টি, ৬টি বা ৭টি বা তার বেশি ঘর গ্রহশূন্য থাকে।
প্রশ্ন হচ্ছে, জন্মচক্রে কোনও ঘরে যদি কোনও গ্রহ না থাকে, তবে সেই ফাঁকা ঘরগুলি কী ভাবে ফল দেবে? ফাঁকা ঘর বা ফাঁকা রাশি যেখানে কোনও গ্রহ থাকে না, সেই ঘর বা রাশি কি আদৌ কোনও ফল দিয়ে থাকে?
এই সব নিয়ে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য জ্যোতিষে নানা মুনি নানা মত দিয়েছে। এক কথায় বলা যায় না যে, কোনও ফল দেয় না, বা ফল দিয়ে থাকে। ভাব বা ঘর গ্রহশূন্য হলে এর সঙ্গে পূর্বজন্মের কর্মফল বর্তমান জীবনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত থাকে।
আরও পড়ুন: জ্যোতিষের চোখে সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য যা প্রয়োজন
সাধারণ অভিজ্ঞতায় জানা গিয়েছে, কোনও ভাবে গ্রহ না থাকলে বর্তমান জীবনের সেই অংশে বা সেই ভাবকে নিয়ে তেমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রভাব জাতক/জাতিকার জীবনে সে ভাবে পড়ে না। জাতক/জাতিকা নিজেরাই অনুভব করে, যে ভাবে বা ভাবগুলিতে গ্রহ আছে আর যে ভাবগুলি গ্রহশূন্য সেই ভাবগুলি নিয়ে তাদের তেমন মাথাব্যথা নেই। হ্যাঁ একমাত্র যখন কোনও গ্রহ গোচরে যদি ঐ গ্রহশূন্য ঘরে আসে তখন কিছু ঘটনা ঘটলে পড়ে ঘটতে পারে।
পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে, যাদের দু’টি/তিনটি বা চারটি ভাবে যাবতীয় গ্রহ অবস্থান করছে আর বাকি ভাবগুলিতে কোনও গ্রহ নেই, এই রকম ক্ষেত্রে যে ভাবগুলিতে গ্রহ নেই বর্তমান জীবনে জাতক/জাতিকার জীবন সংগ্রামে এই এই ভাবগুলি থেকে ভাল বা খারাপ কোনও ফল নিয়ে তারা মোটেই বিচলিত নয়। বরং যে ভাবগুলিতে গ্রহ রয়েছে সেগুলি নিয়ে তারা সর্বক্ষণ তৎপর থাকে তা সে ভাল বা খারাপ যে কর্মফলই ফলুক।
যে ভাবে গ্রহ থাকে না, এমন ক্ষেত্রে জাতক/জাতিকারা সেখান থেকে আশানুরূপ ফল পায় না। সে ক্ষেত্রে তারা সেই ভাবের প্রতি সে রকম ইচ্ছাশক্তি অনুভব করে না। অনেক ক্ষেত্রে তারা সেইভাব সূচিত ব্যাপারে কোনও আগ্রহ অনুভব করে না।
যেমন লগ্ন বা প্রথম ভাবে যদি কোনও গ্রহ না থাকে, সেই জাতক/জাতিকা তার চেতনাকে এ জীবনে সে ভাবে ফোকাস করতে পারে না। জীবনের প্রতি যতটা পজিটিভ মানসিকতা নেওয়া দরকার ছিল তা সে নিতে পারেনি পূর্ব জীবনের কর্মফলের কারণে। এরা কিছুটা লক্ষ্যভ্রষ্ট এবং কনফিউসড মানসিকতার হয়ে থাকে। জীবনের সাফল্য মাঝারি গোছের হয়।
দ্বিতীয় ভাবে যদি কোনও গ্রহ না থাকে, সে ক্ষেত্রে এদের কাঁধে যে বোঝাটা থাকা উচিত ছিল তা থাকে না। এর অর্থ, পূর্ব জীবনের চাপ এখানে সে ভাবে পড়েনি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গ্রহশূন্য ভাব মানেই পূর্ব জীবনের খারাপ কর্মফলের প্রভাব নেই বলেই চলে। এখান থেকেই ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ এর মধ্যে যে অর্থচাপ থাকে তা নেই।
তৃতীয় ভাবে যদি কোনও গ্রহ না থাকে, স্বাভাবিক ভাবেই তৃতীয় ভাব থেকে যে কাজগুলি হয় যেমন, ছোটখাটো ভ্রমণ, পাড়া প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ, ভাইবোনের সম্পর্ক, যাবতীয় যোগাযো জাতক/জাতিকারা তা সুন্দর ভাবেই করে থাকে। কোনও বিতর্কের মধ্যে পড়তে হয় না। গ্রহ না থাকা মানেই ভাল বা খারপ কোনও বিতর্কিত ব্যাপারে না জড়ানো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy