হিন্দু শাস্ত্রে নারকেলের ব্যবহার অপরিহার্য। একটি জলপূর্ণ ঘটের ওপরে শীষযুক্ত ডাব বা একটি গোটা নারকেল না দিলে যেন হিন্দুদের পুজো কিছু অসম্পুর্ন বলে মনে হয়।
এই জলপূর্ণ ঘট ও নারকেল একত্রে খুব শুভ সঙ্কেত বলে মানা হয়। পুজো বা কোনও মঙ্গলকার্যে এর ব্যবহার আদিকাল থেকে চলে আসছে। কেবল পূজর্চনার ক্ষেত্রেই নয়, জ্যোতিষশাস্ত্রও নারকেলকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। জ্যোতিষ মতে নারকেল যে কোনও মানুষের ভাগ্য ফিরিয়ে দিতে পারে এবং দুর্ভাগ্যকে সৌভাগ্যে পরিণত করতে পারে।
দেখে নেওয়া যাক কোন কোন ক্ষেত্রে নারকেল শুভ বলে মনে করা হয়:
• কালসর্প দোষের ক্ষেত্রে বা এই দোষের হাত থেকে মুক্তি পেতে একটি কম্বল ও একটি শুকনো নারকেল কোনও গরিব বা ভিখারিকে দান করতে হবে। এতে অনেকটা ভাল ফল পেতে পারেন।
• যে কোনও মঙ্গলবার একটি নারকেল লাল কাপড়ে মুড়ে বাড়ির চারপাশে ঘুড়িয়ে নিয়ে যে গঙ্গা বা পুকুরের জলে ফেলে দিতে হবে। এতে মঙ্গল গ্রহের কুপ্রভাব থাকলে তার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: কোন গণের সঙ্গে কোন গণের বিয়ে হওয়া একেবারেই উচিত নয়
• আর্থিক উন্নতির জন্য পর পর ৮টি মঙ্গলবার একটি করে নারকেল হনুমানজির মন্দিরে দান করতে হবে।
• শনি মহারাজের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে একটি নারকেল গঙ্গাজলে ডুবিয়ে ‘ওঁ রামদূতায় নমঃ’ এই মন্ত্র ৭ বার উচ্চারণ করতে হবে। পরে নারকেলটিকে জলে ভাসিয়ে দিতে হবে।
• হনুমানজির মন্দিরে একটি নারকেল নিয়ে তাতে হনুমানজির পায়ের কমলা সিঁদুর দিয়ে নারকেলের ওপর স্বস্তিক এঁকে সেটা হনুমানজির উদ্দেশে অর্পণ করে, তার সামনে বসে হনুমান চালিশা পাঠ করলে, যে কোনও মনস্কামনা পূর্ণ হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy