Advertisement
১৭ মে ২০২৪
nagaland

AFSPA: সেনার গুলিকাণ্ডের বিতর্কের মধ্যেই নাগাল্যান্ডে ফের ৬ মাসের জন্য বাড়ানো হল আফস্পা

গত ৪ ডিসেম্বর সেনা গুলিতে নিহত হন ৬ জন গ্রামবাসী। তার পরই উত্তাল হয়ে ওঠে নাগাল্যান্ড। একটি পিক আপ ভ্যানে চেপে ৮ জন নিজেদের গ্রামে ফিরছিলেন।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
কোহিমা শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ ১১:৫২
Share: Save:

নিরীহ গ্রামবাসীদের উপর সেনার গুলিবর্ষণের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। এই বিতর্কের মধ্যেই নাগাল্যান্ডে ফের মেয়াদ বাড়ানো হল দ্য আর্মড ফোর্সেস(স্পেশাল) পাওয়ার্স অ্যাক্ট বা আফস্পা-র।

গত ৪ ডিসেম্বর সেনা গুলিতে নিহত হন ৬ জন গ্রামবাসী। তার পরই উত্তাল হয়ে ওঠে নাগাল্যান্ড। একটি পিক আপ ভ্যানে চেপে আট জন নিজেদের গ্রামে ফিরছিলেন। প্রতি সপ্তাহেই রবিবার পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে সোমবার ফের খনির কাজে যোগ দেন তাঁরা। প্যারা কমান্ডোদের কাছে খবর ছিল, অরুণাচলের দিক থেকে জঙ্গিরা নাগাল্যান্ডে ঢুকবে। ওটিং গ্রামের কাছে খনিমজুরদের গাড়ি আসতে দেখেই কমান্ডোরা গুলি চালাতে থাকেন। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ৬ জনের। বিক্ষোভ এবং সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু হয়েছিল এক জওয়ানেরও।

সেই ঘটনার পর থেকেই আফস্পা তোলার দাবি জোরালো হতে শুরু করে রাজ্যে। গত ২০ ডিসেম্বর সর্বসম্মতিক্রমে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি বিশেষ করে নাগাল্যান্ড থেকে আফস্পা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব পাশ হয় রাজ্য বিধানসভায়।

একই সঙ্গে, আফস্পা তোলা সম্ভব কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য শীর্ষ আমলা বিবেক জোশীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। গুলিকাণ্ডের ঘটনার তদন্তের জন্য রাজ্যের বিশেষ তদন্তকারী দলকেও অনুমতি দেওয়া হয়ছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, ফের আফস্পা-র মেয়াদ বৃদ্ধিতে তদন্ত থমকে যাবে না তো?

প্রতি ছ’মাস অন্তর আফস্পা-র মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় নাগাল্যান্ডে। ‘উপদ্রুত’ হিসেবে চিহ্নিত অঞ্চলগুলিতে সেনাকে অত্যধিক ক্ষমতা দেওয়া হয়। যা 'আফস্পা' নামে পরিচিত। সেই অঞ্চলে বিনা বাধায় অভিযান চালাতে পারে সেনা। কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া কোনও ঘটনার জন্য সেনার বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা নিতে পারে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

nagaland AFSPA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE