শৈলেন্দ্র যে কামানটিকে বিশ্বসেরা বলে উল্লেখ করেছেন, ৮ বছর আগে পূর্বতন ইউপিএ জমানায় তার যাত্রা শুরু। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতকে ‘আত্মনির্ভর’ করে তুলতে এই কামানই কাজে আসবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ভারত ফোর্জ লিমিটেড এবং টাটা পাওয়ার এসইডি, যৌথ ভাবে এই প্রকল্পে যুক্ত। প্রকল্পে যোগ দেওয়ার মাত্র ৩০ মাসের মধ্যে প্রথম দেশীয় প্রযুক্তির কামানটি তৈরি করে ফেলতে সক্ষম হয় তারা।
শুধু তাই নয়, ১৫৫ মিলিমিটার ব্যাস যুক্ত নল রয়েছে যে সমস্ত কামানে, তার মধ্যে একমাত্র এটিএজিএস-ই ৪৮ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম। এ ছাড়াও এই কামানে অক্সিলারি পাওয়ার মোড, স্বয়ংক্রিয় নির্দেশ এবং নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রয়েছে। ‘ওয়্যারলেস স্টেট অব দ্য আর্ট কমিউনিকেশন সিস্টেম’ও রয়েছে এই কামান প্রযুক্তিতে। তার মাধ্যমে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রত্যেকটি কামান প্রযুক্তির মধ্যে সংযোগ বজায় থাকে। এমনকি রাতের অন্ধকার ভেদ করে শত্রুপক্ষকে খুঁজে বার করার জন্য প্রয়োজনীয় নাইট ভিশন প্রযুক্তিও রয়েছে।
ডিআরডিও জানিয়েছে, বার্স্ট মোডে রাখলে মাত্র ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে ৩ রাউন্ড গোলা দাগতে পারে এই কামান। আর সাসটেইন্ড মোডে রাখলে এই কামান থেকে ৬০ মিনিটে ৬০ রাউন্ড গোলা দাগা যাবে। সব মিলিয়ে এই কামানটির ওজন প্রায় ১৮ টন। কামানের নলটির দৈর্ঘ্যই শুধুমাত্র ৬ হাজার ৮৭৫ মিলিমিটার। এক একটি কামান পরিচালনা করতে ৬ থেকে ৮ জনের দল প্রয়োজন।
বিগত ৫ বছর ধরে এটিএজিএস কামান নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। প্রতিবারই পরীক্ষায় সফল হয়েছে এই কামান। এ বছর অক্টোবরে কামানগুলির চূড়ান্ত পর্য়ায়ের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তাতে সফল হলে সরাসরি ভারতীয় সেনার হাতে উঠবে কামানগুলি। পরীক্ষা চলাকালীন এর আগে ওই কামান থেকে ১৩০ রাউন্ডের বেশি গোলা দাগা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারত ফোর্জ লিমিটেড।
এতদিন ভারতীয় সেনাবাহিনী বফর্সের কামানের প্রতি অনুরক্ত ছিল। ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধে সেটি ব্যাপক সাফল্য এনে দিয়েছিল। কিন্তু এটিএজিএস-কে বফর্সের চেয়েও এগিয়ে রাখছে ডিআরডিও। কারণ বফর্স মাত্র ৩২ কিলোমিটার পর্যন্তই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। তাই বিদেশ থেকে অস্ত্রশস্ত্র না কিনে দেশীয় প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই অস্ত্রভাণ্ডার তৈরির পক্ষে অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy