অযোধ্যার পুরোহিতের অস্বাভাবিক মৃত্যু। — প্রতীকী ছবি।
উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় এক পুরোহিতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য। একটি লাইভ সম্প্রচার করা ভিডিয়োয় পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করেছেন তিনি। যদিও পুলিশের পাল্টা দাবি, ওই পুরোহিত মাদকাসক্ত ছিলেন। পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ ভিত্তিহীন।
অযোধ্যায় নরসিংহ মন্দিরের অন্যতম পুরোহিত ছিলেন ৮০ বছরের রামশরণ দাস। এ বছরের জানুয়ারি থেকে তিনি নিখোঁজ। সেই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ ২৮ বছরের রামশঙ্কর দাসের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করে। রামশঙ্করও নরসিংহ মন্দিরেই পুরোহিতের কাজ করতেন। গত সোমবার বিকেলে মন্দির চত্বরে রামশঙ্করের থাকার ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তার দু’দিন আগে থেকেই তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই পুরোহিত। জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে ফেসবুকে লাইভ করেছিলেন। সেই ভিডিয়োতেই তাঁর আত্মঘাতী হওয়ার ছবিও ধরা পড়েছে। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ফেসবুক লাইভে রামশঙ্কর পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন। তাঁর মূল অভিযোগের তির ছিল স্থানীয় রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। পুলিশি হেনস্থা সইতে না পেরেই রামশঙ্কর চরম পথ বেছে নিচ্ছেন বলেও তিনি লাইভ সম্প্রচারে দাবি করেছেন। যদিও সমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। কোতয়ালি থানার এসএইচও মনোজ শর্মা বলেন, ‘‘পুরোহিত রামশঙ্কর দাস মাদকাসক্ত ছিলেন। মাদকের প্রভাবেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। আমরা মৃত্যুর সম্ভাব্য সমস্ত কারণ খতিয়ে দেখছি। তবে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ করেছেন তা পুরোপুরি মিথ্যা।’’
গত দু’দিন ধরেই রামশঙ্করের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সোমবার বিকেলে খুঁজতে গিয়ে তাঁর ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ রয়েছে বলে দেখা যায়। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। নিজের পরনের পোশাক দিয়ে দড়ি পাকিয়ে তিনি ঝুলে পড়েছিলেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy