মঞ্জুকে না জানিয়ে বেআইনি পথে বন্দুক কিনেছিলেন তাঁর প্রেমিক বাবুলাল। প্রতীকী ছবি।
সারা জীবন হাতে হাত রাখার কথা দিয়েও সেই কথা ভেঙে দিলেন মঞ্জুর প্রেমিক বাবুলাল। নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেছিলেন বাবুলাল। প্রেমিকের এ ভাবে চলে যাওয়া মানতে পারেননি মঞ্জু। তাই নিজেও আর বাঁচতে চাননি তিনি। গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মারা যান মঞ্জু। গুরুগ্রামের সেক্টর ৩৭ এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ৩০ বছর বয়সি মঞ্জু বিহারের বাসিন্দা।
বিহার থেকে গুরুগ্রামে চাকরি সূত্রে এসেছিলেন। সেখানে মুদিখানার কর্মী বাবুলালের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। আলাপ প্রেমে গড়াতে বেশি সময় নেয়নি। বাবুলাল বিবাহিত ছিলেন। তবুও মঞ্জুর সঙ্গে সারা জীবন কাটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাবুলাল। কিন্তু মঞ্জুকে দেওয়া কথা রাখেননি তিনি। মঞ্জুকে না জানিয়ে বেআইনি পথে বন্দুক কিনেছিলেন বাবুলাল। রবিবার সন্ধ্যায় ওই বন্দুক দিয়েই নিজেকে গুলি করে মারা যান তিনি। প্রেমিকের মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি মঞ্জু।
বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত মঞ্জু গুরুগ্রামের সেক্টর ৩৭ এলাকায় একটি ভাড়া বা়ড়িতে থাকতেন। রবিবার রাতে নিজের বাড়িতে ছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই রাতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে ঘরের ভিতর আগুন লাগিয়ে দেন মঞ্জু। আগুন দেখতে পেয়ে স্থানীয়েরা দমকল এবং পুলিশে খবর দেন। দমকল কর্মীরা আগুন নিভিয়ে মঞ্জুকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করলে তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে দিল্লির এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায় নি মঞ্জুকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। মঞ্জুর ঘরের ভিতর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঞ্জুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তাদের হাতে আসবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy